
দীর্ঘ আড়াই বছর পর ফের দর্শকপর্ণ যুবভারতীতে চলছে ডুরান্ড কাপে এটিকে মোহনবাগান বনাম ইমামি ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি। ম্যাচের প্রথমার্ধ হাড্ডাহাড্ডিভাবে শুরু হলেও ধীরে ধীরে ম্যাচে আধিপত্যবিস্তার করে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। প্রথম ৪৫ মিনিটে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শট ও নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে সব অ্যাটাক নিষ্ফলে যেতে থাকে। কিন্তু হাল না ছেড়ে স্টিভেন কনস্টেনটাইনের দলের উপর চাপ বাড়াতেই থাকে এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠ ও আক্রমণ বিভাগ। যার ফল স্বরূপ প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট খেলা শেষে ইনজুরি টাইমে আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। সুমিত পাসির আত্মঘঘাতি গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় এটিকে মোহনবাগান।
এদিন ম্যাচের শুরুতে হাড্ডাহাড্ডি ফুটবল খেলে এটিকে মোহনবাগান ও ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম থেকেই গোলের জন্য ঝাপানোর চেষ্টা করে স্টিভেন কনস্টেনটাইন ও জুয়ান ফেরান্দোর দল। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ম্য়াচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। মাঝমাঠের খেলা ধরে নিতেই একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। যার ফলে একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকেন এটিকেএমবি। ম্য়াচের ১৬ মিনিটে সহজ একটি সুযোগ নষ্ট করেন আশিক কুরুনিয়ান। তবে তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ম্যাচের ২০ মিনিটে হুগো একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজে গোলে শট না নিয়ে লিস্টনকে বল বাড়ান। বুঝেই উঠতে পারেননি লিস্টন কোলাসো। যার ফলে কাঙ্খিত গোল আসেনি। তবে ম্যাচে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে যথেষ্ট চাপে রাখে এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে আশিক বল টেনে নিয়ে দুরন্ত একটি ক্রস বাড়িয়েছিলেন লিস্টনকে। ফাঁকায় দাঁড়িয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। বল পায়ে ছোঁয়ালেই নিশ্চিত গোল ছিল। কিন্তু লিস্টন জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন। তবে লাল-হলুদ রক্ষণে চাপ বজায় রাখে সবুজ-মরেুণ ব্রিগেড। যা সমলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে প্রথম ফ্রি-কিক পায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তবে তাতে কোনও সমস্যা হয়নি বাগানের। ৩৪ মিনিটে দুরন্ত শট নেন ইস্টবেঙ্গলের ইভান গঞ্জালেস। যদিও সেটি অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়। ম্যাচের প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিটে খেলার ফুল শূন্য ছিল। ইনজুরি টাইমে কর্ণার পায় এটিকে মোহনবাগান। লিস্টনের কর্নার শট জটলার মাঝে সুমিত পাসির বুকে লেগে ঢুকে যায় গোলে। বিরতির ঠিক আগেই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান।