
ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে রাজস্থান ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে হারতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। দুবার লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি জুয়ান ফেরান্দোর দল। দ্বিতীয় ম্য়াচেও জয় অধরা থেকে গেল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডের। দ্বিতীয় ম্যাচেও মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে ছিল এটিকে মোহনবাগান। গোল করেন লিস্টন কোলাসো। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে বাগান। পেরেরা ডিয়াজের গোল করে মুম্বই সিটি এফসিকে সমতায় ফেরায়। শেষ পর্যন্ত নিষ্ফলাভাবে শেষ হয় ম্য়াচ। এদিনও ম্য়াচে ওকেধাক সুযোগ নষ্ট করে এটিকে মোহনবাগানের অ্য়াটাকিং লাইন। সুযোগের সঠক ব্যবহার করতে পারলে ম্য়াচের ফল অন্য রকন হতেই পারত। মরসুমের শুরুতে পরপর ২ ম্য়াচ জয় অধরা থাকায় হতাশ সবুজ-মেরুণ সমর্থকরা।
প্রথম ম্যাচের তুলনায় এদিন প্রথম থেকেই একটু বেশি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। ম্য়াচের ২ মিনিটেই প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন লিস্টন কোলাস। তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর একের পর এক আক্রমণ গড়ে জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। ম্যাচের ১৮ মিনিটেও গোলের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিলেন লিস্টন। কিন্তু তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তে আক্রমণের ঝাঁঝ কমেনি সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডের। মাঝ মাঠে দখল নিয়ে মুম্বইয়ের ডিফেন্সে হানা দিতে থাকে বাগানের অ্যাটাকিং লাইন। ম্য়াচের প্রথমার্ধেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মুম্বইয়ের রাহুল ভেকে। তার পরিবর্তে মাঠে নামেন মেহতাব। ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোল করার মত সুযোগ পেয়েছিল মুম্বই সিটি। বিপিন গোলের কাছে পৌঁছে গেলেনও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন। ম্য়াচের ৪০ মিনিটে গোলের মুখ খুলে ফেলে এটিকে মোহনবাগান। আশিস রাই গোলের দিকে শট করলে বল গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফিরে আসে এবং ফিরতি বলে গোল করেন লিস্টন কোলাসো। এরপর গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েছিলেন মুম্বইয়েক বিপিন। কিন্তু বাগান গোলরক্ষককে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। দুই প্রান্ত দিয়ে কয়েকটি আক্রমণও শানায় জুয়ান ফেরান্দোর দল। কিন্তু গোলের ব্যবধান আর বাড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি এফসিও। সুযোগ পেলেই ঝটিকা আক্রমণে ওঠে মুম্বই। ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রেখেছিল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। ৭৬ মিনিটে গোল শোধ করে মুম্বই সিটি। পেরেরা ডিয়াজের গোল করে দলকে সমতায় ফেরায়। এরপর দুই দলই জয়সূচক গোলের জন্য চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কোনও দলউ আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হয় ম্য়াচ। প্রথম ম্যাচে রাজস্থান ইউনাইটেডের কাছে হার ও দ্বিতীয় ম্যাচে ড্রয়ের ফলে পরের রাউন্ডে যাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের।