ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2022) টানা তৃতীয় জয় পেল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। ৩-০ গোলে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সকে (Indian Air Force) হারাল সাদা-কালো ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনাল পৌছে গেল মহমেডান স্পোর্টিং।
এক দিকে যখন কলকাতার দুই প্রধান এটিকে মোহনবাগান ও ইমামি ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ড কাপের প্রথম দুটি ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায়নি। অপরদিকে কলকাতার তৃতীয় প্রধান ক্লাব ডুরান্ড কাপে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছে। জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল মহমেডান এসসি। প্রথম ম্য়াচে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত ফুটবল খেলে এফসি গোয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। দ্বিতীয় ম্য়াচে জামশেদপুর এফসিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল। আর তৃতীয় ম্যাচে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সকে ২-০ গোলে হারাল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই জয়ের ফলে পরপর তিন ম্যাচ জিতে ডুরান্ড কাপ ২০২২-এর প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছে গেল কলকাতার তৃতীয় প্রধান। ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে দুটি গোল করেন ওসমানে এনদিয়ায়ে এবং রাহুল পাসওয়ান।
প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। তৃতীয় ম্যাচেও জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিল আন্দ্রে চের্নিশভের দল। তবে এদিন রক্ষণকে শক্কিশালী করে আক্রমণে যাওয়ার রণনীতি সাজিয়েছিলেন মহনেডান কোচ। ক্রিস্টি ডেভিসের জায়গায় আভাস থাপাকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন আন্দ্রে চের্নিশভ। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝমাঠের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে সাদা-কালো ব্রিগেড। মাঝ মাঠের খেলা প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যে একটু ধরে নিতেই আক্রমণে যায় মহমেডান। ম্যাচের ৬ মিনিটে গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি নুরুদ্দিন। তার শট বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ম্যাচে ১৪ মিনিটে প্রীতম সিং গোলমুখী শট নিয়েছিলেন। তবে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি। ম্য়াচের ৩৩ মিনিটে গোলের মুখ খুলে ফেলে মহমেডান এসসি। শেখ ফৈয়াজের শট যায় ফজলু রহমানের কাছে। তাঁর শট থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন এনদিয়ায়ে। এরপর ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দল আরও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও আর গোলের মুখ খোলেনি। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মহমেডান এসসি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমণ শানায় মহমেডান এসসি। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সও বেশ কয়েকবার আক্রমণে ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেননি ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের অ্যাটাকিং লাইন। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন প্রীতম। তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৭ মিনিটে রাহুলের সামনে ফাঁকা গোল পেয়েও বাইরে মারেন। অবশেষে খেলা শেষের তিন মিনিট আগে এনদিয়ায়ের থেকে পাস পান মার্কাস। তিনি বল বাড়ান রাহুলকে। এ বার গোল করতে ভুল করেননি রাহুল। এরপর আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায়নি ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলেই ম্যাচ জেতে মহমেডান এসসি।