অপেক্ষার অবসান, আইএসএল-এর দরপত্র জমা দিল ইস্টবেঙ্গল

Published : Sep 14, 2020, 07:21 PM IST
অপেক্ষার অবসান, আইএসএল-এর দরপত্র জমা দিল ইস্টবেঙ্গল

সংক্ষিপ্ত

বিড পেপার জমা দিল ইস্টবেঙ্গল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রাইভেট লিমিটেড, এই নামে জমা পড়লো কাগজ একমাত্র ক্লাব হিসাবে বিড জমা করেছে তারা সব ঠিক থাকলে দ্রুত শুরু কোচ ও বিদেশি বাছাই প্রক্রিয়া  

শেষ পর্যন্ত আপামর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের যাবতীয় প্রতীক্ষার অবসান হলো আজ। আজ ক্লাবের তরফ থেকে জমা পড়লো বিড পেপার। 'ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রাইভেট লিমিটেড'-এর নামে বিড পেপার জমা পড়েছে। এই পেপার জমা হয়ে যাওয়ায় স্বস্তির হাওয়া লাল হলুদ শিবিরে। কারণ বিড পেপার ফিল আপ করা, তারপর পাঁচ বছরের ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির শর্ত পূরণের বিষয়টি অনেকটাই জটিল। তাতে কোনও গন্ডগোল থাকলে লিগের অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি আপত্তি করতে পারে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সংযুক্তিকরণে।

 এমনিতে ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে থাকায় বেঙ্গালুরু এফসি বাদে কোনও ফ্রাঞ্চাইজিই যে বিশাল খুশি তা নয়। ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্ভুক্তির ফলে প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজিকে দুটি অতিরিক্ত ম্যাচে খেলতে হবে। যার ফলে আইএসএল ২০২০-র মেয়াদ বাড়বে। শোনা গিয়েছে এই অর্থনৈতিক জটিলতায় ভরা বছরে সেই সামান্য হলেও খরচ বাড়াতে খুশি নয় ফ্রাঞ্চাইজিগুলি। তাই তারা যাতে বিড পেপারে কোনওরকম অসঙ্গতি খুঁজে না পায় সেই নিয়ে সতর্ক ছিল ইস্টবেঙ্গল। এছাড়াও একটি ব্রিটিশ আর্থিক সংস্থা বিড পেপার তুললেও তা জমা দিচ্ছে না। আইএসএল এখন বিশ্ব লিগ ফোরামের অন্তর্ভুক্ত। তাই ব্রিটিশ সংস্থাটি ভবিষ্যতের কথা ভেবেই বিড পেপার তুলেছে বলে এফএসডিএল আধিকারিকদের ধারণা। তাই ঠিকমতো বিড পেপার জমা দিলে ইস্ট বেঙ্গলই হবে আইএসএলের এগারোতম দল।

শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় সরকারের কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স দপ্তরে নাম নথিভুক্ত করার জন্য যে আবেদন জানিয়েছিল তা মঞ্জুর হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর। শ্রী সিমেন্টের প্রধান অফিস যদিও কলকাতায়। ইস্ট বেঙ্গলও একই শহরের দল। তবুও রাজস্থানের ঠিকানায় কেন কোম্পানিটি নথিভুক্ত করা হয়েছে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরে জানা যায় আর্থিক ফায়দার জন্যই রাজস্থানের ঠিকানায় শাখা কোম্পানিটি নথিভুক্ত করা হয়েছে, যেহেতু জিএসটি রিটার্নের হার পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজস্থানে বেশি। এইমুহুর্তে কোম্পানির দুই ডিরেক্টর হলেন সঞ্জয় মেহতা ও সুনীল কুমার গুপ্তা। পরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকে কারা ওই কোম্পানিতে যুক্ত হবেন তা এখনও জানা যায়নি। সেটা ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক হবে বলে শ্রী সিমেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। 

বিড জমা পরে গিয়েছে, এবার আসন্ন মরশুমে কোচ কে হবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইনভেস্টর। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরিচিত কোচের বায়োডাটা জমা করেছে লাল হলুদ কর্তারা। নেদারল্যান্ডসের প্রাক্তন কোচ মারউইক, এককালে আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়াকে কোচিং করানো পেকারম্যানদের পাশাপাশি পৈতৃক সূত্রে স্প্যানিশ এবং কিছুদিন আগে ফিলিপিন্স লিগে 'সেরেস'-কে তিনবার লিগ জেতানো কোচ রিস্তো ভিদাকোভিচের নামও রয়েছে।  ফ্রি বিদেশি ফুটবলারদেরই সন্ধানেই রয়েছে লাল হলুদ। ইরানের উইং হাফ ওমিদ সিংকে রাখা হবে কি না, তা দু’পক্ষের আলোচনায় ঠিক হবে। তাছাড়া আগের বছর ইস্টবেঙ্গলে খেলা হুয়ান মেরা গঞ্জালেস এবং কেরালা ব্লাস্টার্স-এর টার্গেটে থাকা জোসেবা বেইতিয়াকেও অপশন হিসাবে রাখা হয়েছে। এদেরকে আনতে ইস্টবেঙ্গলের বিশাল কিছু খরচ হবে না। সেক্ষেত্রে বাকি কয়েকটি বিদেশিদের জন্য বেশি খরচ করতে পারবে লাল হলুদ।

PREV
click me!

Recommended Stories

UCL 2025-26: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মেগা লড়াইতে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি লিভারপুল, নজরে সালাহ
নেইমারের চোখ ধাঁধানো ৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের গাড়ির কালেকশন দেখেছেন?