করোনা ভাইরাসের জেরে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। কবে থেকে ফের ভারতে ফুটবল শুরু হবে তা কেউ জানেননা। ফুটসলের মধ্য দিয়ে করোনা পরবর্তী সময়ে দেশে ফুটবল শুরু করার পরিকল্পনাও করে ফেলেছে ফেডারেশন। কিন্তু দেশের ফুটবল মরসুমের শুর নিয়ে এখনও পরিষ্কারভাবে কিছু জানাতে পারেনি ফেডারেশন কর্তারা। কিন্তি এতসব জটিলত নিয়ে ভাবতে নারাজ ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব। দলের স্পনসর কোয়েসের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিশ্চিত। এই মরশুমের শেষ পর্যন্ত ফুটবলারদের বেতনও দিচ্ছে না কোয়েস। করোনাকে হাতিয়ার করে ‘ফোর্স মেজর’ দেখিয়ে ফুটবলারদের চুক্তি শেষ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী মরশুমে কারা লাল-হলুদের স্পনসর কে হবে ঠিক নেই। কর্তারা একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা বললেও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তারপরও সকলকে চমকে দিয়ে পরের মরসুমের জন্যদল গোছানো শুরু করে দিয়েছে ইষ্টবেঙ্গল কর্তারা। আগেই বলবন্ত সিংয়ের মতো তারকাকে সই করিয়ে চমক দিয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। এবার জাতীয় দলে খেলা শেহনাজ সিং,বিকাশ জাইরু আর কেভিন লোবোর সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলল ইষ্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুনঃমহামারীর পর 'ফুটসল' দিয়ে ভারতে ফিরতে চলেছে ফুটবল
দেশজুড়ে লকডাউনের মাঝেই স্বদেশি রিক্রুট প্রায় শেষ করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। শেহনাজ সিং,বিকাশ জাইরু আর কেভিন লোবো এই তিন ফুটবলারই আগে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে খেলেছেন। কেভিন লোবো আর শেহনাজকে পেয়ে যাওয়ায় মাঝমাঠ অনেকটাই শক্তিশালী হল লাল-হলুদের। গত মরশুমে শেহনাজ সিং ছিলেন এটিকে-তে। অন্যদিকে মিনার্ভা পঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন গোয়ান মিডফিল্ডার কেভিন লোবো। আর বিকাশ জাইরু জামশেদপুর এফসি থেকে লাল-হলুদে এলেন। মরশুমের শুরুতে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা যাঁদের টার্গেট করেছিলেন,তাদের অধিকাংশের সঙ্গেই চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলেছে লাল-হলুদ। স্বদেশি ফুটবলার প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও বিদেশি ফুটবলার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। কারণ, নতুন মরশুমে তাঁরা কোথায় খেলবেন এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তাছাড়া করোনা পরবর্তী সময় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বিদেশি বিদেশি ফুটবলার নিয়োগের ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিচ্ছে ইষ্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুনঃভারতে খেলতে আসা স্প্যানিশ ফুটবলারদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ,৫ মে বিশেষ বিমান
এদিকে লাল-হলুদ কর্তারা একপ্রকার ঠিকই করে ফেলেছেন আগামী মরশুমেও দলের কোচ থাকবেন মারিও রিবেরা। ইতিমধ্যেই দেবব্রত সরকার-সহ ইস্টবেঙ্গলের একাধিক শীর্ষকর্তা মারিওর সাথে বৈঠক করে ফেলেছেন। কর্তারা ঠিক করেছেন আপাতত মারিওই কোচের পদের জন্য উপযুক্ত। কারণ, ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে তাঁর ধারণা তৈরি হয়েছে। ভারতীয় ফুটবলও বুঝে গিয়েছেন। তাছাড়া সদ্য শেষ হওয়া মরশুমে বিশ্রী জায়গা থেকে দলকে টেনে তুলেছেন তিনি। এই মারিওর পরামর্শেই আগেভাগে ফুটবলার সই করাচ্ছে শতবর্ষের ক্লাবটি। ইষ্টবেঙ্গলের দল গোছানোর তোরজোর দেখে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, শেষ মরসুমে ক্লাবের শতবর্ষ হলেও চূড়ান্ত হতাশাজনক পারফরমেন্স করেছে দল। তাই পরের মরসুমে ট্রফির লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চলছে লাল-হলুদ শিবির।