হল না ১৯৯২-এর পুনরাবৃত্তি। ইউরো ২০২০-র সেমি ফাইনালেই শেষ হল ডেনমার্কের স্বপ্নের দৌড়। ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিল ডলবার্গ, ব্রেথওয়েট, ড্যামসবার্গরা। অপরদিকে, ইউরোর গ্রুপ পর্বে যেই হ্যারি কেনের পারফরমেন্স-গোলের খরা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন, অতিরিক্ত সময়ে সেই হ্যারি কেনের গোলেই ফাইনালের টিকিট পাকা করল ব্রিটিশ লায়ন্সরা। একইসঙ্গে নকআউটে ৩ ম্যাচে ৪ গোল করে সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ইউরো কাপের ইতিহাসে প্রথমবারল ফাইনালে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুনঃসৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৪৯ তম জন্মদিন, রাতেই 'মহারাজ'-কে বিশেষ উপহার স্ত্রী ডোনার
মেগা সেমি ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে দুই দল। ম্যাচের ৩০ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ডেনমার্ক। যা দেখে কিছুটা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল ব্রিটিশদের গড় ওয়েম্বলি। লুক শ আন্দ্রেস ক্রিসটেনসেনকে ফাউল করায় ফ্রি কিক পায় ডেনমার্ক। ২০ গজ দূর থেকে দুরন্ত ফ্রি কিকে গোল করেন মাইকেল ড্যামসগার্ড। যদিও লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ড্যানিশরা। হ্যারি কেন পাস করেন সাকাকে। স্টারলিংকে লক্ষ্য করে সেন্টার করেন সাকা। কিন্তু সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে দেন সাইমন কায়ের। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে।
আরও পড়ুনঃকেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত বিষয়, ৪০তম জন্মদিনে জানুন ধোনির কেরিয়ারের অজানা তথ্য
আরও পড়ুনঃসচিন-সৌরভ থেকে ধোনি-কোহলি-রোহিত, দেখুন ক্রিকেটারদের নাক ডেকে ঘুমানোর ভাইরাল ছবি
দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোলের জন্য ঝাঁপায় দুই দলই। দুই দলই বেশ কয়েকবার গোল করার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু দুই গোলরক্ষক পিকফোর্ড ও স্কিমিচেল অনবদ্য কিছু সেভ করেন। ফলে নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও খেলা সমতাতেই শেষ হয়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। ১০৩ মিনিটে বক্সের মধ্যে স্টারলিংকে ফেলে দেন ড্যানিয়েল ওয়াস। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেয় রেফারি। হ্যারি কেনের শট স্কিমিচেল বাঁচিয়ে দিলেও, ফিরতি শটে গোল করেন ব্রিটিশ অধিনায়ক। শেষে ২-১ গোলে ম্য়াচ জিতে ইউরোর ফাইনালে পৌছল গ্যারেথ সাউথ গেটের দল। রবিবার মেগা ফাইনালে মুখোমুখি ইংল্য়ান্ড ও ইতালি।