
ক্লাব বদল হলেও গোলের খিদে ও একের পর এক রেকর্ড গড়ায় কোনো খামতি নেই পিএসজি (PSG)তারকা লিওনেল মেসির (Lionel Messi)। মঙ্গলবার চ্যাম্রিয়ন্স লিগের (Champions League)গ্রুপ ম্য়াচে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিল পিএসজি। পরের রাউন্ডে যাওয়া আগেই নিশ্চিৎ হয়ে গিয়েছিল মেসি-এমব্যাপে-দি মারিয়াদের। ফলে ক্লাব ব্রুজের বিরুদ্ধে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হলেও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই নামে ফরাসী ক্লাব। ম্য়াচে ৪-১ গোলে বিপক্ষকে হেলায় হারা পিএসজি। ম্য়াচে পিএসজির হয়ে জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমব্যাপে (Kylian Mbappe)ও লিওনেল মেসি। এই ম্য়াচে জোড়া গোলের ফলে অনন্য রেকর্ডের অধিকারী হলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ফুটবলের রাজপুত্র টপকে গেলেন কিংবদন্তী 'ফুটবল সম্রাট' পেলেকে (Pele)।
ব্রাজিলীয় সুপার স্টারের ক্লাব ও দেশের জার্সি মিলিয়ে ৭৫৭টি গোল করেছেন পেলে। এই রেকর্ড আগেই ভেঙেছিলেন মেসির চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। েবার সেই রেকর্ড টপকে গেলেন লিওনেল মেসি। মঙ্গলবার প্যারিস সাঁ জাঁর (PSG) জার্সি গায়ে ফুটবল কেরিয়ারের ৭৫৮ তম গোলটি করে ফেললেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। আর তাতেই সবচেয়ে বেশি গোলদাতাদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন তিনি। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকা ক্লাবের হয়ে ৬৭৮টি এবং দেশের জার্সিতে ৮০টি গোল করে ফেললেন। অনন্য নজির গড়ার পর খুশি লিওনেল মেসি। কিছুদিন আগেই বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে সপ্তমবার ব্য়ালন ডিঅর জয়ের রেকর্ড গড়েছেন মেসি। এবার পেলের রেকর্ড ভাঙার পরও শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ক্লাব ব্রুজের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ম্য়াচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পেয়ে যায় পিএসজি। প্রথম গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন ফরাসী তারকা কিলিয়ান এমব্যাপে। ম্য়াচের শুরুতেই গোল খেয়ে কিছুটা দমে যায় বিপক্ষ ক্লাব। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় পিএসজি। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করে ফেলেন এমব্যাপে। ২ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর ম্য়াচ কিছুটা ধরার চেষ্টা ক্লাব ব্রুজ। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষের কিছু সময় আগে দেখা মেলে মেসির বাঁ-পায়ের জাদু। অনবদ্য গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটে ব্রুজের হয়ে গোল করেন ম্যাটস রিটস। কিন্তু তার আট মিনিট পরেই ফের গোল করে মেসি। পেনাল্টি পেলেও এমব্য়াপে হ্যাটট্রিক ছেড়ে মেসিকে মারতে দেন। পেলের রেকর্ড ভাঙা ছাড়াও, দ্বিতীয় গোলটি ছিল মেসির ৩৮তম ভিন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লি দলের বিরদ্ধে। যেই রেকর্ডও নেই কারও।