গোটা বিশ্বের নেইমরা প্রেমীদের চোখ ছিল মিয়ামিতে। কারণ চোট পর্ব কাটিয়ে মাঠে ফিরছেন ব্রাজিল ফুটবলের ওয়ান্ডার ম্যান। হার্ড রক স্টিডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ভক্তদের হতাশ করেননি নেইমারও। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই গোল এল তাঁর পা থেকে। চোট কাটিয়ে ফেরা নেইমার প্রথমার্ধে কিছুটা সময় নিলেন নিজেকে মানিয়ে নিতে। তবে তার মধ্যেই নেইমারের কর্ণার থেকে প্রথম গোল তুলে নিল ব্রাজিল। গোল করলেন ক্যাসেমেরো। তবে এই গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তিতের দল। বক্সে প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে কড়া ট্যাকেল করে কলম্বিয়াকে পেনাল্টি উপহার দিলেন স্যান্ড্রো। পেনাল্টি থেকে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে কলম্বিয়া। প্রথমার্ধেই সেলেকাওদের বিরুদ্ধে আরও একটি গোল চাপিয়ে দেয় কলম্বিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরে, খেলায় কিছুটা উন্নতি করে তিতের ব্রাজিল। ৫৮ মিনিটে দর্শকদের অপেক্ষার অবসান। নেইমারের পা থেকে গোল এল। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে গোল অনেকটাই স্বস্তি দেবে ব্রাজিলের সুপারস্টারকে। ৭৫ মিনিটে নেইমারের পেনাল্টির আবেদন নাকোচ করেন রেফারি। ম্যাচ শেষ হয় ২-২ গোলেই। ৯০ মিনিট শেষে ব্রাজিলের ডানি আলভেজ বলেন, ‘কঠিন ম্যাচ ছিল, তবে যা সুযোগ পেয়েছিলাম তাতে আমরা জিততেও পারতাম।’ তিতের দল এবার যাবে লস অ্যাঞ্জেলেসে, সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ পেরু। খেলা মঙ্গলবার।
ফিফা ফ্রেন্ডলিতে ব্রাজিল জয় তুলে নিলেও উয়েফা ইউরোর কোয়ালিফাইং ম্যাচে বড় ধাক্কা খেল জার্মানি। গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকেও হারের মুখ দেখতে হল জোয়াকিম লো’র দলকে। ম্যাচ শুরুর নয় মিনিটের মধ্যে প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় জার্মানরা। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরে জোয়াকিম লোয়ের দলের ওপর বুল্ডোজার চালিয়ে দেন ভার্জিলরা। গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মত আত্মঘাতী গোল করে বসে জার্মানরা। পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করে ম্যাচে সমতাও ফরিয়েও এনেছিলেন টোনি ক্রুজ, কিন্তু তারপরও দুটি গোল হজম করে জার্মানরা। ৪-২ গোল ম্যাচ হারতে হয় জোয়াকিমের দলকে। তবে জার্মানদের হারালেও গ্রুপে এখনও তাদের নিচে ডাচরা।