না, পিএসজি ছাড়তে পারলেন না নেইমার জুনিয়র। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে যখন প্যারিস সাঁ জাঁ'য় নাম লিখিয়েছিলেন, তখনও ফুটবল বিশ্বে কম উন্মাদনা তৈরি হয়নি। তবে এবার সেই উন্মাদনাও ছাপিয়ে গিয়েছিল নেইমারের পিএসজি ছেড়ে বার্সেলোনায় ফিরে আসার খবরে। কিন্তু সোমবার ইউরোপের ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেইমারের বার্সেলোনায় ফেরার রাস্তাও আপাতত বন্ধ হয়ে গেল। তাই মন না চাইলেও প্যারিসের ক্লাবেই খেলতে হবে ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারকে।
মেসি চেয়েছিলেন নেইমার আবার ফিরে আসুক ক্যাম্প নৌতে। কাতালান ক্লাব কম চেষ্টাও করেনি। আর্থিক প্রস্তাব যেমন ছিল তেমনই ছিলে তিন ফুটবলারকে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে পাঠানোর প্রস্তাবও। কিন্তু কোনও প্রস্তাবেই পিএসজির বরফ গলাতে পারেনি মেসিদের ক্লাব। কেনার রাস্তা বন্ধ দেখে লোনে ব্রাজিলের সুপারস্টারকে দল নেওয়ার চেষ্টাও করেছিল বার্সেলোনা, তবে সেই পরিকল্পনাও বাস্তবে রূপ পায়নি। নেইমারকে নিতে ঝাঁপিয়েছিল জিদানের রিয়াল মাদ্রিদও। সেটাও হল না। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডও প্রথমে আগ্রহ দেখিয়ে পরে হাত তুলে নেয়। আসরে নেমেছিল ম্যানসিটি জুভেন্তাসের মত ক্লাবও।
আরও পড়ুন- ক্যারেবিয়ানদের হোয়াইট ওয়াশ করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে ভারত
আপাতত আর কোথাও যাওয়া হচ্ছে না নেইমারের। মরসুমের শুরুতে তিনি পিএসজি ছাড়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এমনকি কোপার পর ব্রাজিলে, নিজের সংস্থার অনুষ্ঠানে বার্সেলোনাকে নিজের ক্লাব বলেও উল্লেখও করেছিলেন। শুরু থেকে যোগ দেননি পিএসজির অনুশীলনেও। কারণ নেইমার তখন ঠিক করেই ফেলেছেন তিনি ফিরছেন বার্সেলোনায়। তবে জল যে একেবারেই উল্টো দিকে বয়ে যাবে সেটা কে জানত। এবার মানসিক ভাবে প্যারিস ছেড়ে দাওয়া নেইমারকে, আবার নামতে হবে পিএসজির জার্সি গায়ে। যদিও প্যারিস সাঁ জাঁর কোচ বা দলের অন্য আরেক তারকা এমবাপে নেইমারকে সব ভুলে নতুন করে শুরু করার কথাই বলেছেন। ইচ্ছে না থাকলেও নেইমারকেও সেটাই করতে হবে। এবারের লিগে এখনও পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে পিএসজির। তিনটি জয় নিয়ে তারা লিগের শীর্ষে। অন্যদিকে নেইমার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম তিনটি ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন না নির্বাসন থাকায়।