শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো পর্ব। কাল রাত থেকে শুরু কোয়ার্টার ফাইনালের যাবতীয় ম্যাচ। তার আগে দীর্ঘদিন পরে ফিরে এসে ভক্তদের কিছু উত্তেজক ম্যাচ উপহার দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। প্রথম দিন মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি এবং রিয়াল মাদ্রিদ। একইসাথে মাঠে নেমেছিল জুভেন্তাস এবং অলিম্পিক লিওন। কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ম্যান সিটি এবং লিওন। দ্বিতীয় দিন নাপোলি কে হারিয়ে বার্সেলোনা নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। দুর্বল চেলসিকে আরও একবার হেনস্তা করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন। প্রতিটি খেলাতেই দুর্দান্ত কিছু গোলের সাক্ষী থেকেছেন সমর্থকরা।
আরও পড়ুনঃসমীক্ষায় প্রমাণিত বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় ক্রিকেটার কোহলি,জেনে নিন আরও কারা রয়েছে তালিকায়
মেসি এবং রোনাল্ডো দুজনেই জ্বলে উঠেছিলেন শেষ ষোলোর দ্বিতীয় পর্বে। কিন্তু রোনাল্ডো জোড়া গোল করেও দলের কাছ থেকে তেমন কোনও সদর্থক সহায়তা না পাওয়ায় বিদায় নিয়েছেন। সেই জায়গায় মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সাথে সাথে বার্সেলোনা হিসেব কষে খেলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে থেকে সপ্তাহের সেরা গোলের দৌড়ে নাম লিখিয়েছিল লিওনের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর দ্বিতীয় গোলটি এবং নাপোলির বিরদ্ধে মেসির একমাত্র গোলটি।
আরও পড়ুনঃ১৮ অগাস্ট নতুন টাইটেল স্পনসর পেতে চলেছে আইপিএল, জানালেন ব্রিজেশ প্যাটেল
আরও পড়ুনঃসুশান্তের মৃত্যুতে চুপ কেনও ক্রিকেটাররা, প্রশ্ন তুললেন মনোজ তিওয়ারি
লিওনের বিরুদ্ধে গোলপোস্টের ২৫ গজ দূর থেকে চোঁখ ধাঁধানো শটে গোল করেছেন রোনাল্ডো। বলে গতি এতটাই বেশি ছিল যে লিওন গোলরক্ষক হাত লাগিয়েও আটকাতে পারেননি বলটিকে। ডানদিকের টপ কর্নার দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা রোনাল্ডো শটটি নিয়েছিলেন তার অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাঁ পায়ে। নন-কিকিং ফুট থেকে একটি শটের পেছনে অতখানি শক্তি প্রয়োগ করা সাধারণ যে কোনও ফুটবলারের পক্ষে অসম্ভব। উল্টোদিকে মেসি নাপোলির বিরুদ্ধে খেলায় পেনাল্টি বক্সের ডান দিকে বলটি রিসিভ করেন। করেই অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় নাপোলি লেফট ব্যাক মারিও রুই এবং সেন্টার ব্যাক কৌলিবেলি-কে গায়ের মোচড়ে বিভ্রান্ত করে বক্সে ঢুকতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে গিয়েও দুর্দান্ত ব্যালান্স দেখিয়ে আবার সামলে নেন। মারিও রুই বল ক্লিয়ার গিয়ে আবার মেসিকেই বলটি দিয়ে বসেন। সেই বল ধরে ওপর এক সেন্টার ব্যাক মানোলাসের গা ঘেষে বাক খাওয়ানো শট নেন মেসি। হালকাভাবে গোলকিপার ডেভিড অস্পিনা-র আঙ্গুল ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায় বলটি। এই দুটি গোলের সাথে ম্যান সিটির বিরুদ্ধে বেনজেমার হেড এবং চেলসির বিরুদ্ধে লেয়নডস্কি-র প্রথম গোলটিও লড়াইয়ে ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সকলকে পেছনে ফেলে সেরা গোলের তকমা পেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দুর্দান্ত গোলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গিয়েও নিজের ছাপ রেখে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।