এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের (Asian Cup qualifier) ম্য়াচে কম্বোডিয়াকে (Cambodia) ২-০ গোলে হারাল ভারতীয় ফুটবল দল (Indian Football Team) । ম্যাচে জোড়া গোল করে নায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। ম্যাচের পর যুবভারতীর দর্শককে বিশেষ বার্তা দিলেন ভারত অধিনায়ক।
মহুর্মুহু আক্রমণ। যা সামলাতে নাভিসশ্বাস উঠে যাচ্ছে প্রতিপভ দলের। দু-একটি আক্রমণ ছাড়া গোটা ম্যাচে রক্ষণ করতেই ব্যস্ত থাকল প্রতিপক্ষ দল কম্বোডিয়া। যুবভারতীয় সবুজ গালিচায় মেন ইন ব্লুদের ঝড়। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে ম্যাচ জিতল ভারতীয় দল। জোড়া গোল করে নায়ক ভারতীয় ফুটবলরে পোস্টার বয় সুনীল ছেত্রী। তবে ভারতীয় দল একাধিক সুযোগ নষ্ট করায় কিছুটা হতাশ ফুটবল প্রেমিরা। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে শুধু আক্রমণের ঝড় নয়, হোলের বন্যাও দেখতে পারত যুবভারতী। এটাই ছিল এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় ফুটবল দলের খেলার সারমর্ম। তবে দলের খেলায় খুশি ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। যুবভারতীয় সমর্থনে আবেগপ্লুত সুনীস ছেত্রীও।
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে ভারতীয় ফুটবল দল। মাঝমাঠকে সংঘবদ্ধ করে বল পজিশন ধরে রেখে একের পর এক গোলমুখী আক্রমণ গড়ে তোলে ইগর স্টিমাচের ছেলারা। যার সুবাদে গোল পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্য়াচের ১২ মিনিটে বক্সের ভেতরে লিস্টন ফাউল করেন কম্বোডিয়ার চোউন চানচাভ। যেই কারণে পেনাল্টি পেয়ে যায় ভারত। সেখান থেকে দলের ও নিজের প্রথম গোল করতে কোনও ভুল করেননি সুনীল ছেত্রী। এরপর ম্যাচের প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ভারত। কিন্তি কাজের কাজ হয়নি। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সুনীলরা। দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের আক্রমণাত্মক ফুটবল জারি রাখে। যা সামলাতে কার্যত কাল ঘাম ছুটে যায় কম্বোডিয়ার। ৫৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন সুনীল ছেত্রী। ব্রেন্ডনের ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করার সময় কেউ তাঁকে মার্ক করেননি। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে কোনও ভুল করেননি সুনীল। এরপর ম্য়াচে একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ভারত। তা নাহলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানেই ম্যাচ জেতে ভারতীয় ফুটবল দল।
ভারতীয় দলের খেলায় যুবভারতীর সমর্থকরা খুশি হলেও সুযোদ নষ্ট ও সুনীল ছেত্রীকে হ্যাটট্রিকের সুযোগ না দিয়ে কোচ তুলে নেওয়ায় অখুশি। যদিও ম্যাচ শেষে যুবভারতীর মন জয় করে নিলেন সুনীল ছেত্রী। বললেন,'নিজের হ্যাটট্রিক নয়, দলের জয়টাই আসল। আমাদের প্রধান লক্ষ্য মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করা। কে গোল করল। কটা গোল করল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।দর্শকরা যে ভাবে আমাদের সমর্থন করেছেন, তা অতুলনীয়। ওঁদের খুশি করতে পেরেই বেশি আনন্দ হচ্ছে। শুনছিলাম, রাত সাড়ে আটটায় খেলা দেখতে নাকি বেশি দর্শক আসবেন না। বাস্তবের ছবিটা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। আশা করছি, পরের ম্যাচগুলিতে দর্শকদের আরও আনন্দ দিতে পারব। সকলকে ধন্যবাদ। অনুরোধ করব যদি সম্ভব হয়, আফগানিস্তান ম্যাচেও আপনারা যুবভারতীতে আসুন।'