বাবার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে, ১৫ বছর হলে সঙ্গম - আশ্চর্য প্রথা চালু এই বাংলাদেশি উপজাতির মধ্যে
সমাজভেদে পাল্টে যায় মূল্যবোধের সংজ্ঞা। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সমাজে বহু বিস্ময়কর সব প্রথা চালু আছে। বেশিরভাগ সমাজে যেমন বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। কিন্তু, এমন এক সম্প্রদায়-ও আছে যেখানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় বাবা ও মেয়ে।
amartya lahiri | Published : Dec 8, 2020 5:42 PM IST / Updated: Jan 19 2021, 02:12 PM IST
বাংলাদেশের উত্তরাংশে বাস মাণ্ডি নামে পাহাড়ি উপজাতির। এই মান্ডি উপজাতির মধ্যে বাবা ও মেয়ের বিবাহ হয়। অর্থাৎ, মা ও মেয়ে পরিণত হয় সতীন-এ।
হাজার হাজার বছর ধরে এই উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রথা চালু রয়েছে। ছোট থেকেই মেয়েদের স্বপ্নে কোনও রাজপুত্র নয়, তাদের বাবাকেই বিবাহ করার স্বপ্ন দেখানো হয়।
আর কোনও মহিলার স্বামী অল্প বয়সে মারা গেলে, তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয় অন্য কোনও অল্প বয়সী পুরুষের সঙ্গে। একইসঙ্গে ওই একই মণ্ডপে একই স্বামীকে বিয়ে করতে হয় তাঁর কন্যাকেও।
এর কারণ হল মান্ডি উপজাতি বিশ্বাস করে, অল্প বয়সী পুরুষটি তাঁর দুই স্ত্রী অর্থাৎ মা এবং মেয়ে দুজনকেই স্বামী হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে সুরক্ষা দিতে পারবেন।
মেয়ের ১৫ বছর বয়স হলেই তাকে বাবার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে হয়।
মান্ডি সম্প্রদায়ের দাবি এই অদ্ভুত ঐতিহ্যের কারণেই তাদের সমাজে মা এবং মেয়ের সম্পর্কটা অন্যান্য সমাজের থেকে আলাদা। তারা একে অপরের বন্ধুর মতো থাকে।
অবশ্য এই আধুনিক যুগে মান্ডি ,সম্প্রদায়ের অনেক মহিলাই এই প্রাচীন প্রথা মানতে চান না। ২০১৮ সালে ওরোলা দালবত নামে এক ৩০ বছরের মহিলা এই প্রথার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছিলেন। যা নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। তবে অনেকেই এখনও তাঁদের আদি প্রথা মেনেই চলেন।
শুধু বাংলাদেশ নয়, মান্ডি উপজাতির সদস্যদের দেখা পাওয়া যায় ভারতবর্ষের উত্তরপূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যেও।