Published : Apr 18, 2020, 04:28 PM ISTUpdated : Apr 18, 2020, 04:30 PM IST
অভিনেত্রী পাওলি দামের 'ছত্রাক' বিতর্কের সাত বছর কেটে গিয়েছে। তবুও এই কন্ট্রোভার্সি নিয়ে আজও মাঝে মধ্যেই শুরু হয় আলোচনা। সে সময় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন। তাঁদের কথায়, পাওলির এমন অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয় করা উচিত হয়নি। প্রতিটি জিনিসের শোভন, অশোভন বলে একটি বস্তু আছে, দেশের সংস্কৃতিকে ক্ষুন্ন করেছেন পাওলি। এ ধরণের নানা মন্তব্যের তিড়ে বিদ্ধ হয়েছিলেন পাওলি। যদিও এর মধ্যেই ছিল ব্যতিক্রম। প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ থেকে শুরু করে অঞ্জন দত্ত, গৌতম ঘোষ, সুমন মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পাওলির সমর্থনে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।
তাঁদের কথা ছিল কেবল একটাই। একজন শিল্পী পরিচালকের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী নিজেকে ভেঙে গড়ে নিতে পছন্দ করে।
210
একজন আসল শিল্পীর কোনও বাধা নিষেধ হয় না। কোনটা শ্লীল কোনটা অশ্লীল সেটা সমাজ বিচার করবে কীকরে।
310
অঞ্জন দত্ত এও বলেছিলেন, নগ্নতাকে অশ্লীল বলার কারণ কী। কামসূত্র তো আমাদের দেশের ঐতিহ্য। তাহলে সেটাকে দেশের সংস্কৃতি বলা হয় কেন।
410
নগ্নতা যদি একটি চিত্রনাট্যের জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে, সঙ্গমের দৃশ্য যদি প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে সেটা ছবিতে থাকবে।
510
ঋতুপর্ণ সে সময় বলেছিলেন, তথাকথিত ভদ্র সমাজ, কমার্শিয়াল ছবি ধর্ষণের দৃশ্য তাড়িয়ে তাড়িয়ে দেখে মজা পায়, কিন্তু সঙ্গমের দৃশ্যেই যত সমস্যা।
610
পাওলি একজন শিল্পী। একজনের শিল্পীসত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে কেন। তাঁর স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে, সে অনস্ক্রিন কী করবে না করবে তা সমাজ বলে দেবে না।
710
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য পাওলিকে সমর্থন করে বলেছিলেন, "ছবির জন্য কোনটা প্রাসঙ্গিক কোনটা অপ্রাসঙ্গিক সেটা একমাত্র পরিচালক বোঝেন। কমার্শিয়াল যেখানে সেখানে গান ঢুকিয়ে দেওয়াটা তো কেউ অপ্রাসঙ্গিক বলে না।"
810
তিনি এও জানান, ভদ্র মানসিকতার মানুষদের মুখ থেকে অন্তত এই কথাটা বেরনো উচিত না, যে পাওলি মারাত্মক কোনও অপরাধ করেছে।
910
অন্যদিকে পরমব্রতও বলেন, আমাদের সমাজে এখনও সাধারণ শিক্ষাটুকুর অভাব গুরুতর ভাবে রয়েছে। তা থাকলে আজ হয়তো এমন দিন দেখতে হত না।
1010
গৌতম ঘোষের কথায়, পাওলি নিজেকে একজন পরিচালকের মত ভেঙে গড়ে নিয়েছে, এতে কারও কোনও কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা না। পছন্দ না হলে দেখবেন না। আপনাকে কেউ বাধ্য করেন।