সত্যজিতের কীর্তিকেই গুড়িকে দিতে চলেছিলেন প্রসেনজিৎ, ভুল বুঝতে পেরে পিছু হটেন, জানুন সেই কাহিনি
এক কামড়ার ছোট ফ্ল্যাটই হোক বা বিশালাকৃতির বাগান বাড়ি, নিভৃত আস্তানা সকলেই খোঁজে। কেই হয়তো অনেক উঁচুতে খোলা বারান্দা থেকে রাতের তারা দেখতে পছন্দ করে আবার কেউ দক্ষিণের খোলা বারান্দা। স্বপ্নের বাড়ি কেনার বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে গোটা শহর। আর সেই স্বপ্নপূরণে ডুব দিচ্ছেন অনেকেই। তবে তার মধ্যেও ব্যতিক্রমও রয়েছেন। যেমন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। টলিউড সুপারস্টারের বাড়ির অন্দরমহলটার প্রতিটা কোণায় কোণায় লুকিয়ে রয়েছে স্মৃতি। একসময় যে বাড়িটাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে চেয়েছিলেন সেই বাড়ি আজ তার স্বপ্নের 'রাজমহল'। কিন্তু কী এমন বিশেষত্ব রয়েছেন যার জন্য এত উৎকন্ঠা অভিনেতা। সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তার সাধের বাড়ি 'উৎসব' কে ঘিরে। তবে তিনি একা নন মহানায়ক উত্তম কুমারও রয়েছেন। তার বাড়িতেই সত্যজিৎ রায় 'নায়ক' ছবির শ্যুটিং করেছিলেন। পরিচালক ঋতুপর্ণও তার 'খেলা' সিনেমার শ্যুটিং করেছিলেন এই 'উৎসব'-এই। সুতরা দুই লেজেন্জের এত স্মৃতি যেখানে জড়িয়ে রয়েছে সেটা স্বপ্নের রাজমহল তো বটেই। অন্দরমহলের অন্দরসজ্জা পুরোটাই তার নিজের হাতে রোনোভেট করা। ছিমছাম রঙের এই বাড়ির প্রতিটি জায়গায় 'রেট্রো' ফিল রেখেছেন অভিনেতা। তার অন্দরসজ্জার পুরো চিত্রটাই তুলে ধরেছেন এশিয়ান পেইন্টস। একঝলকে দেখে নিন প্রসেনজিতের স্বপ্নের রাজমহল 'উৎসব'-এর অন্দরসজ্জা।
Riya Das | Published : Apr 4, 2020 5:41 AM IST / Updated: Apr 04 2020, 11:16 AM IST
কলকাতার বিড়লা মন্দিরের নিকটেই টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-এর বাড়ি। সাদা রঙের এই বাড়িটি রাজপ্রাসাদের চেয়ে কম কিছু নয়। একসময় যে বাড়িটাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে চেয়েছিলেন সেই বাড়ি আজ তার স্বপ্নের 'রাজমহল'। কিন্তু কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে যার জন্য এত উৎকন্ঠা অভিনেতা। সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তার সাধের বাড়ি 'উৎসব' কে ঘিরে।
বিশাল জায়গা নিয়ে তার এই বাড়ির প্রতিটা কোণায় কোণায় জড়িয়ে রয়েছে স্মৃতি। অন্দরমহলের অন্দরসজ্জা পুরোটাই তার নিজের হাতে রোনোভেট করা।
বরাবরই হাল্কা রং পছন্দ অভিনেতার। নিজের পছন্দমতোই স্বপ্নের রাজমহলকে সাজিয়েছেন অভিনেতা। ছিমছাম রঙের এই বাড়ির প্রতিটি জায়গায় 'রেট্রো' ফিল রেখেছেন প্রসেনজিৎ। এটা হল তার ড্রয়িং রুম। যার পুরোটা জুড়েই ইতিহাসের কিছু না কিছু রয়েছে। আর সেগুলিকেই যত্ন সহকারে নিজের ড্রয়িং রুমে স্থান দিয়েছেন অভিনেতা।।
এটা হল ডাইনিং রুম। বিশেষত যখন কোনও গেস্টরা বাড়িতে আসে তখই এই ডাইনিং টেবিল ব্যবহার করা হয়। তা নাহলে এটা খুব একটা ব্যবহার করেননা অভিনেতা। কারণ এত বড় ডাইনিং-এ দুজন বসলে ফ্রেমের মধ্যে তা যেন ঠিক মানানসই হয় না।
এটা হল প্রসেনজিতের অফিস কাম চেম্বার। এই জায়গাটা তার ভীষণই কাছের। এখানেই বেশি সময় কাটান অভিনেতা। এমনকী কোনও কিছু স্ক্রিপ্ট লেখার সময় সাধারণত এই জায়গাটাতেই বসেন তিনি। এই জায়গাটির আরেকটি বিশেষত্ব হল এই জানালা। যেখান থেকে বাইরের সবুজ প্রকৃতিকে তিনি দেখতে পান।
বাড়ির প্রতিটি কোণার মধ্যে চোখে পড়েছে স্ত্রী অর্পিতা এবং অভিনেতার এটি ছবিটি। বাড়ির অন্যান্য জিনিসগুলির মতোনই সাদা-কালোর এই ছবিটিতে যেন তাদের ভালবাসাটা আরও জোড়ালো ভাবে ফুটে উঠেছে।
প্রত্যেকটা বাঙালি বাড়িতেই বিশ্বকবির ছবি কমবেশি থাকে। তার অন্দরমহলের মধ্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি জিনিস যা বুম্বাদার খুব কাছের তার মধ্যে একটি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পেন্টিং।
এটা হল প্রসেনজিতের মিটিং রুম। এটা ঘরেই যাবতীয় মিটিং থেকে শুরু করে বার্থ ডে সেলিব্রেশন সমস্তটাই করে থাকেন অভিনেতা। একসঙ্গে ৩০-৪০ জন এই ঘরে বসতে পারেন। এমনকী মাঝে মাঝে ১০০ জনও হাজির হয়েছেন এই ঘরেই। নিজের বিভিন্ন ফটোফ্রেম দিয়ে এই ঘরটাকে সুসজ্জিত করেছেন অভিনেতা। যা নজর কেড়েছে সকলের।
এটা ভীষণই স্পেশ্যাল গিফট বুম্বার। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে তাকে এই উপহারটি দেওয়া হয়েছিল। যা এখনও তার অন্দরসজ্জায় সুসজ্জিত হয়ে রয়েছে।
আরও একটি পেন্টিং যা প্রসেনজিতের ভীষণ পছন্দের তালিকায় একটি। সেটা হল লালন ফকিরের এই ছবি। বাড়ি হল তার সেই শান্তির জায়গা যেখানে নিজের ভালবাসাকে অন্দরের প্রতিটি জায়গায় তিনি সাজিয়ে তুলেছেন। রাতে ডিনার যখনই শেষ হোক না কেন তার শান্তির একটাই ঠিকানা। আর সেটা হল তার স্বপ্নের রাজমহল 'উৎসব'।