চল্লিশের দশকে থিয়েটারের মঞ্চ কাঁপালেও উচ্চ শিক্ষার পাঠ সেরে প্রথমেই চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেননি কিংবদন্তী পরিচালক মৃণাল সেন। সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু, পরবর্তীতে ওষুধ বিক্রেতা হিসেবেও কাজ করেছিলেন তিনি। তবে কালের লেখনীতে ছিল অন্য কিছু। হাতে কলম নিয়ে পর্দায় গল্প আঁকাই ছিল তাঁর ভবিষ্যৎ। ১৯৫৫ থেকে শুরু, তার পর একে একে সৃষ্টি হল কালজয়ী ছবি, যা আজও বাংলাকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।
১৯২৩ সালে ১৪ মে, আধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম গ্রহণ করে ছিলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক মৃণাল সেন।
29
৪০-এর দশকে তিনি ইন্ডিয়ান পিপ্লস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন-এর সঙ্গে যোগদান করেছিলেন।
39
উচ্চ শিক্ষার পাঠ মিটিয়ে প্রথমে সাংবিদকতার পেশা, ওষুধ বিক্রেতা এবং পরে চলচ্চিত্রে সাউন্ড স্পেশালিস্ট হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি।
49
এরপরই তিনি স্থির করেছিলেন ছবির জগতে পা রাখবেন। শুরু হয়েছিল শ্যুটিং, প্রথম ছবি রাত-ভোর, মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৫ সালে।
59
তাঁর দ্বিতীয় ছবি নীল আকাশের নিচে স্থানীয় পরিচিতি এনে দিলেও, স্বপ্নপূরণ হয় তৃতীয় ছবিতে, ১৯৬০ সালে বাইশে শ্রাবণ ছবি থেকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি তৈরি হয়েছিল পরিচালকের।
69
১৯৬৯ সালে ভূবন সোম ছবি তাঁকে চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যায়। এরপর কলকাতা ৭১, পদাতিক, আকালের সন্ধানে, অন্তরীণ-এর মতো ছবি তৈরি করেছিলেন পরিচালক।
79
তাঁর শেষ ছবি আমার ভূবন, মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সালে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টেলিভিশনেও অসংখ্য কাজ করেছেন তিনি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইচ্ছেপূরণ, অপরাজিত, আজনবি, দশ সাল বাদ প্রভৃতি।
89
মৃণাল সেন বাংলায় অনুবাগ করেছেন চার্লি চ্যাপলিনের জীবনী। বাংলা তথা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের এক মহিরূহ বলে অভিহিত করা হয় মৃণাল সেনকে। যিনি একাধিক ছবিতে তৎকালীন কলকাতার অস্থির অবস্থার ছবি যত্নসহকারে তুলে ধরেছিলেন।
99
তাঁর কালজয়ী সৃষ্টির জন্য সম্মানিত হয়েছেন পদ্মভূষণ, দাদা সাহেব ফালকে সম্মানে, ফ্রান্স ও রাশিয়া থেকেও পেয়েছে সরকারি সম্মান।