দমদমের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন শিপ্রা রায়চৌধুরি। অর্থাভাবের কারণে নিজের পড়াশুনাটাও শেষ করে উঠতে পারেননি তিনি। তবে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল এক অন্য জগৎ। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের পৃথিবীতে পদার্পণ শিপ্রা। সঙ্গে সঙ্গে নাম বদলে হয়ে গেল মহুয়া। ঘরোয়া মেয়ের মতো সাধারণ চেহারা, তবে প্রতিভা নেহাতই সাধারণ নয়। বাবা যেহেতু নাচ জানতেন, বাবার থেকেই তালিম নিয়ে মহুয়ার নাচের প্রতি অগাদ ভালবাসা জন্মায়। সেই নাচের প্রতিভা নিয়েই যে কেবল বাংলা চলচ্চিত্র জগতে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন তাই নয়। অভিনয় দক্ষতায়, প্রত্যেক চরিত্রে নিজেকে ভেঙে গড়ে তৈরি করে নেওয়া, পরিচালকের মতই ছবির চিত্রনাট্যের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া, এইভাবেই দক্ষ অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন মহুয়া।