রহস্য-রোম্যাঞ্চ গল্পেই বুঁদ টলিউড, রইল বাংলা ছবির পর্দায় সেরা দশ গোয়েন্দার খোঁজ
বাংলার দর্শকদের কাছে বরাবরই খুব প্রিয় বিষয় হল গোয়েন্দা গল্প। তা উপন্যাসের পাতার চরিত্র হোক, কিংবা নতুন কোনও চরিত্র। গল্পের বই থেকে শুরু করে সিনেমার পর্দা, টান টান উত্তেজনার সঙ্গে ফেলুদার রহস্য ভেদই হোক, কিংবা সোনাদার নজরদারী, এক কথায় বক্স অফিসে হিট। বাংলার সাহিত্য জগতেই এত গোয়েন্দা উপস্থিতি, যে মাঝে মধ্যেই পর্দায় নতুন হাজির হন ফেলুদা, কাকাবাবু, ব্যোমকেশ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে চরিত্রের উপস্থাপনা, বদলেছে অভিনেতা, কিন্তু কালজয়ী গোয়েন্দারা আজও দাপিয়ে বেড়ায় সিনে-পর্দা।
ফেলুদাঃ সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট এই চরিত্র বাংলার অন্যতম গোয়েন্দা। ৫০ বছর আগে তাঁর সৃষ্টি। তিনি নিজেই পরিচালনা করে পর্দায় তুলে ধরেছিলেন সোনার কেল্লা। সালটা ১৯৭৪। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পরবর্তীতে সব্যসাচী চক্রবর্তী ও আবির চট্টোপাধ্যায়।
ব্যোমকেশ বক্সীঃ শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত এই চরিত্র প্রথম ছোট পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিল। পরবর্তীতে এই চরিত্র নিয়ে তৈরি একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন তারকাকে। তাঁর মধ্যে অন্যতম হলেন আবির চট্টোপাধ্যায়।
কাকাবাবুঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত এই চরিত্র পর্দায় আত্মপ্রকাশ কয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে টলিউডের বক্স অফিসে সব থেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি। অভিনয়ে ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
শবর দাশগুপ্তঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত এই চরিত্র পর্দায় আত্ম প্রকাশ করা মাত্রই জনপ্রিয়তা অর্জন করে দর্শক মহলে। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
সোনাদাঃ প্রথম আত্মপ্রকাশ গুপ্তধনের সন্ধানে ছবির মধ্যে দিয়ে। বর্তমানে এই গোয়েন্দা চরিত্রও ঝড় তুলেছে দর্শক মহলে। মুখ্যভুমিতাকে অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়।
প্রসন্ন কুমারঃ নারায়ণ সান্যাল রচিত গোয়েন্দা চরিত্র প্রসন্ন কুমার। ১৯৭৪ সালে যদি জানতেম ছবিটি তৈরি হয়। মুখ্য ভুমিকাতে ছিলেন উত্তম কুমার।
কিরীটি রায়ঃ নিহার রঞ্জন গুপ্ত রচিত চরিত্র কিরীচি রায়। এই চরিত্রে মুখ্যভুমিকাতে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত, চিরঞ্জিত। ২০১৬ সালে প্রথম পর্দায় আত্মপ্রকাশ করে এই চরিত্র।
গোগোলঃ সমরেশ বসু রচিত এই চরিত্র বাংলার ছোট্ট গোয়েন্দা। পর্দায় এই চরিত্র অভিনয় করেছে অভিজিৎ ঘোষ।
মিতিন মাসিঃ সুচিত্রা ভট্টাচার্যের 'হাতে মাত্র তিনটে দিন' উপন্যাস অবলম্বনে অরিন্দম শীলের ছবি 'মিতিন মাসি'। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পাঠক, সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা এবং ভালবাসা কুড়িয়েছে এই ছবি। দীর্ঘদিন পর সিনেমায় কামব্যাক করেই মিতিন মাসির চরিত্রে ফাটিয়ে অভিনয় করেছেন কোয়েল মল্লিক।
অর্জুনঃ সমরেশ মজুমদারের সৃষ্ট চরিত্র অর্জুন। ২০১৩ সালে এই চরিত্র প্রথম পর্দায় আত্মপ্রকাশ করে। তবে এই চরিত্র আর পাঁচটা গোয়েন্দা চরিত্রের থেকে অনেকখানি ভিন্ন।