স্বজনহারানোর চেয়েও বেশি যন্ত্রণা, মৃত্যুর আগেরদিন গভীর শোকে কাতর হয়েছিলেন উত্তম

বাঙালির হার্টথ্রব উত্তম কুমার। মহানায়কের জীবনটাই যেন পুরো একটা সিনেমার গল্প। আজ তিনি আর নেই, পরে রয়েছে শুধু স্মৃতিটুকুই। তবে যা কিছু তিনি দিয়ে গেছেন, তা আর দ্বিতীয়টি গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। আজ তার ৪০ তম প্রয়াণ দিবস। আজ বাঙালির মন ভারাক্রান্ত। আজকের দিনেই রঙ্গমঞ্চকে বিদায় জানিয়ে পরলোকে যাত্রা করেছিলেন উত্তম। তবে আজকের আগের দিন অর্থাৎ ২৩ জুলাই, মৃত্যুর ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে জীবনের প্রিয়জনকে হারানোর সম শোকে কাতর হয়ে পড়েছিলেন উত্তম, যা কোনওমতেই মেনে নিতে পারেননি  স্বপ্নের মহানায়ক উত্তম কুমার।

Riya Das | Published : Jul 24, 2020 5:08 AM IST
110
স্বজনহারানোর চেয়েও বেশি যন্ত্রণা,  মৃত্যুর আগেরদিন গভীর শোকে কাতর হয়েছিলেন উত্তম

আজ মহানায়ক উত্তম কুমারের ৪০ তম মৃত্য়বার্ষিকী। আজকের দিনেই বাঙালির সিনেমার এক অধ্যায়ের শেষ হয়েছিল। আজ কোনওদিন তার দ্বিতীয়টা তৈরি হয়নি।

210

তার মৃত্যুটা যেমন সকলের কাছে হৃদয়বিদারক, তেমনই মৃ্ত্যুর আগের দিনটা অভিনেতার উত্তমের জীবনে স্বজনহারানোর চেয়েও বেশি যন্ত্রণার।

310

মৃত্যুর আগের দিন এমন একটা আকস্মিক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল যা মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল উত্তমকে। প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে পুজো সেরে তিনি বেরোচ্ছেন শুটিংয়ে। গাড়িতে উঠতে গিয়েই  হতবাক হলেন মহানায়ক।

410

শুটিংয়ে যাওয়ার সময় দীর্ঘ ১৭ বছর যে জিনিসটা মহানায়ককে সঙ্গ দিয়ে এসেছে আজ তা নেই। কিন্তু এমনটাতো হওয়ার কথা ছিল না।

510

খোঁজ শুরু হল। কিন্তু পাওয়া গেল না। শেষে দেখা গেল, তার প্রিয় টেপ রেকর্ডারটি চুরি গিয়েছেন। এই রেকর্ডারটি এতটাই প্রিয় ছিল উত্তমের যে প্রিয়জন হারানোর চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন উত্তম।পরে জানা যায় মহানায়কের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল এই টেপ রেকর্ডারটি। নানা স্মৃতি জড়িয়ে ছিল এই ছোট্ট রেকর্ডারে। 

610

অভিনেতার মৃত্যুর ঠিক কয়েকঘন্টা আগে জীবনেক সবচেয়ে মহামূল্যবান স্মৃতি ছেড়ে চলে যাওয়ায় নিজে ভেঙে পড়লেও কাউকে বুঝতে দেননি অভিনেতা।

710

এত মন খারাপের মাঝেও  ওগো বধূ সুন্দরী-র ছবির শুটিং ফ্লোরে হাজির হন  অভিনেতা। টেপ রেকর্ডার চুরি মেনে নিতে পারেননি অভিনেতা। খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করেননি, মন খারাপ নিয়ে সারাদিন কেটেছে অভিনেতার।

810

তবে এটাই যে জীবনের শেষ শুটিং তা টেরও পাননি উত্তম। জীবনের শেষ সংলাপ, 'আমিও দেখে নেবো আমার নাম গগন সেন'-এটা বলতে বলতেই সেটে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

910

তারপরেই বাড়িতে এসে বিছানায় শয্যাশায়ী না হয়েও বন্ধু দেবেশ ঘোষের কথা রাখতে সেদিন রাতে তার বাড়িতে হাজির হয়ে হাসি-ঠাট্টায় মেত ওঠেছিলেন উত্তম। সবশেষে যখন মাঝরাতে বাড়ি ফেরেন, তখনই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরই একেবারে বিছানায়।

1010

আর উঠতে পারলেন না নার্সিংহোমের বেড থেকে। হাজারো প্রচেষ্টা করেও ফিরিয়ে আনা যায় নি মহানায়ককে। ২৪ জুলাই অর্থাৎ আজকের দিনেই চিরঘুমে চলে গেছিলেন উত্তম। ২৫ জুলাই ভোর বেলা হতে না হতেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল এই খবর। 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos