আজ থেকে প্রায় দশ-বারো বছর আগে শ্রেয়সী চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দীপাংশুর। সেখান থেকেই শুরু হয় শ্রেয়সীর উপর নির্মম অত্যাচার। এমনই দাবি করেছেন শ্রেয়সী।
210
নিজের ফেসবুক পেজ থেকে সমস্ত অভিযোগের কথা জানিয়েছেন তিনি। সম্পর্কে থাকাকালীন নিত্যদিন চলত তার উপর অত্যাচার। মারধর চলত নিয়মিত।
310
বন্ধু-বান্ধবদের সামনে শ্রেয়সীকে অপদস্ত করতেন দীপাংশু। অত্যাচার এত বাড়তে থাকে যে একদিন শ্রেয়সীর যনিতে লাথি মারে দীপাংশু।
410
শ্রেয়সী নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে তিক্ত অভিতজ্ঞতা তুলে ধরেন বড় স্টেটাসের মাধ্যমে। যা দ্রুতগতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হয়ে চলেছে।
510
শ্রেয়সী লিখতে শুরু করেন, "২০০৯-এর বইমেলা পরবর্তী ৪ মাস আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়গুলির একটি। ২০০৮-এর নভেম্বর থেকে আমার সাথে দীপাংশুর 'সম্পর্ক' শুরু। আমি আদৌ সম্পর্কে যেতে রাজি ছিলাম না প্রথমদিকে।"
610
"থাকার কথাও না, কিন্তু শেষে রাজি হই। ভুল করি। ডিসেম্বর থেকে দীপাংশু নানা মানসিক উৎপীড়ন শুরু করে, জানুয়ারিতে বইমেলা, সকলের সামনে বারে বারে অপদস্ত করে আমাকে। তৎকালীন বন্ধুবান্ধবরা সকলে চোখের সামনেই দেখেছে।"
710
শ্রেয়সী আরও লেখেন, "তখন ২০০৯, আমার ১৯ বছর বয়েস। জীবনে প্রথম সম্পর্কে জড়ানো। ২০০৯-এর শুরুর দিকে, ফেব্রুয়ারি বা মার্চ, আমাকে ফোন করে নিজের মায়ের ফোন থেকে, একই কথা, 'তিন্নি ফিরে আয়, নাহলে এক্ষুনি আত্মহত্যা করবো।'"
810
"বইমেলার পর আমাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়, তবু আমি যেখানে যাই দীপাংশু ফলো করে। স্টক করে। আমি যাদের সাথে কথা বলি, তাদের শাসায়, তাদেরকে রাস্তায়ঘাটে হেনস্থা করে।"
910
কেবল শ্রেয়সীকেই নয় নিজের স্ত্রীয়ের উপরেও নাকি এমনই অত্যাচার চালাতেন দীপাংশু। শ্রেয়সীর কথামত, দীপাংশুর স্ত্রী জানান, শ্রেয়সীর মত তাকে অত্যাচারিত হতে হয়।
1010
বর্তমানে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে তিনি। তাই বেশি তথ্য তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি।