বলিউডে পা রাখার পর থেকেই যে সফরটা খুব মসৃণ ছিল এমনটা নয়। একের পর এক ছবিতে কাজ করে প্রমাণ করতে হয়েছিল অজয় দেবগণকে তাঁর প্রতিভা। গায়ের রঙ থেকে শুরু করে অভিনয়, একাধিক সময় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল অজয়কে।
বলিউডে (Bollywood) পা রাখার পর থেকেই বিভিন্ন সময় নানা ভাবে তোপের কবলে পড়ে হয়েছিল অজয় দেবগণকে (Ajay Devgn) । প্রথম দেখায় একাধিক পরিচালক তাঁকে নিতেও নাচক করেছিলেন। একবার নয় একাধিকবার ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।
কিন্তু পরিস্থিতির সঙ্গে লড়েই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন অজয় দেবগণ (Ajay Devgn) । অনেকেই প্রথমে সুযোগ দেননি তাঁকে, হাত থেকে গিয়েছে একের পর এক বড় ছবির কাজ। তবুও মুখ বুজেই পরিস্থিতি সামলেছেন তিনি।
অজয় দেবেগণের ছোট থেকেই বলিউডে পা রাখতে চেয়েছিলেন। অভিনয় জগতে এসে হবেন বড় সুপারস্টার, প্রতি মুহূর্তে স্বপ্ন দেখতেন।তবে বলিউডে নিজের পসার জমানো এতটাও সহজ ছিল না। একের পর এক ঝড় উঠে অজয়ের জীবনে।
পরবর্তীতে অজয়ই প্রথম যিনি নিজের জন্য প্রাইভেট জেট কেনেন, যাতে তাঁর কোথাও পোঁছতে দেরি না হয়ে যায়। এই লম্বা সফরের মাঝে একাধিক পরিচালকের সন্মুখীন হতে হয়েছিল তারকাকে। করণ জোহারের বাবার কাছে শুনতে হয়েছিল এই লুকে অভিনয় হয় না।
এই সাফল্যের পেছনে রহস্য কী, সাফ জানিয়েছিলেন অজয় দেবগণ সঠিক সময় চুপ করে থাকা। ধৈর্য আর নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা। পর্দায় অ্যাঙ্গরি ইয়ং ম্যানের অভিনয় করলেও তিনি বরাবরই মাণ্ঠা প্রকৃতির।
কেরিয়াকরে কোনও আঁচরই আসতে দেননি কখনও। যদিও তিনি এটা জানাতেও পিছু পা হননি যে তিনি চুপ করে আছেন মানেই যে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন এমনটা নয়। একাধিক পরিচালকের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক থাকলেও বর্তমানে তিনি অতিত নিয়ে কথা বলতে দুবারও ভাবেন না।
কালো ত্বক কিংবা চুলের স্টাইলে কখনই একজন অভিনেতা পরিচয় হতে পারে না। অভিনয়ের দাপটে তা প্রমাণ করেছিলেন অজয় দেবগণ।
ফলে বিটাউনে পা রাখা মানেই যে সেখান থেকে সাফল্যের রাস্তাটা খুব সহজ এমনটা নয়। বীরু দেবগণের ছেলে হয়েও অজয়কে একাধিকবার ফিরতে হয়েছিল নিরাস হয়েই, শূণ্য হাতে।
সেই ট্রাগেলের সময় পাশে ছিল না কেউ। এমন কি কাজলের সঙ্গে সম্পর্কও মানতে পারেনি কাজলের বাড়ির সদস্যরা। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। মুখ বুঁজে অজয় নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন সকলের চোখের সামনে।