সুশান্ত আর নেই, খবর পেতেই বুকভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রাক্তন বাগদত্তা অঙ্কিতা

বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে চার বছর। তার আগে মনের বিচ্ছেদ ৬-৭ বছর। কিন্তু, সুশান্ত ও অঙ্কিতা যেন ছিলেন একে অপরের পরিপূরক। বাগদান ভেঙে গেলেও কেউ কাউকে ভুলতে পারেননি। যে পবিত্র রিস্তা সিরিয়ালের হাত ধরে এক পবিত্র সম্পর্কে নিজেদের সাত জন্ম বেঁধে রাখার শপথ নিয়েছিলেন সুশান্ত ও অঙ্কিতা তা তাঁরা পালন করতে পারেননি। কিন্তু সুশান্তের চলে যাওয়ার খবরটা পেতেই যেন আকাশ ভেঙে পড়ল অঙ্কিতার। বুক ভাঙায় কান্নায় নাকি ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। 
 

Asianet News Bangla | Published : Jun 16, 2020 2:55 AM IST / Updated: Jun 16 2020, 09:14 AM IST

112
সুশান্ত আর নেই, খবর পেতেই বুকভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রাক্তন বাগদত্তা অঙ্কিতা

পাগলের মতো অঙ্কিতা লোখান্ডেকে খুঁজে বেরিয়েছে সংবাদমাধ্যম। সমানে তাঁর মোবাইল নম্বরে ফোন গিয়েছে। কিন্তু ফোন ধরেননি অঙ্কিতা লোখান্ডে। সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকা থেকে বাগদত্তা হয়েছিলেন অঙ্কিতা। বছরের পর বছর স্বামী-স্ত্রী-র মতোই সম্পর্কে একে অপরের সঙ্গে জুড়েছিলেন। 
 

212

অঙ্কিতা-র সঙ্গে সুশান্তের বিচ্ছেদের পর কেটে গিয়েছে বহু বছর। তবু, সুশান্তের জীবনে অত্যন্ত প্রিয় এবং জীবনসঙ্গিনী-র কথা এলে অঙ্কিতার নামটাই সর্বাগ্রে এসে পড়ে। আচমকাই প্রাক্তন হয়ে যাওয়া অঙ্কিতাকে আলোচনায় না আনলে সুশান্তের জীবনের বৃত্তটা যেন পূরণ-ই হতে চায় না। 

312

টেলিভিশন ধারাবাহিক পবিত্র রিস্তায় অঙ্কিতার নায়ক ছিলেন সুশান্ত। সেখান থেকে একে অপরের প্রেমে। পুর্ণিয়ার এক মধ্যবিত্তি পরিবারের ছেলের চোখে মুম্বই-এর ঝলমলে জীবন, শোবিজ যেন ঘোর নেশা লাগিয়ে দিয়েছিল। আর সেই জীবনে সুশান্তের চন্দ্রমা ছিলেন অঙ্কিতা। ১৬ বছর বয়সে মা-কে হারানো সুশান্ত মনে করতেন অঙ্কিতাই সেই নারী যে তাঁকে বাহুডোরে সাত জন্ম পর্যন্ত বেঁধে রাখতে পারেন। 

412

সুশান্তের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতেই এক সাংবাদিক ফোন করেছিলেন অঙ্কিতাকে। তখনও পর্যন্ত অঙ্কিতা জানতেন না আত্মহত্যায় সুশান্তের মৃত্যুর খবরটা। অঙ্কিতা শুধুমাত্রা হ্যালো বলেছিলেন। এরপর সাংবাদিক অঙ্কিতাকে সুশান্তের মৃত্যুর খবর দিতেই যেন সব চুপ। শুধু একটাই আওয়াজ ভেসে এসেছিল- মোবাইল ফোনের পড়ে যাওয়ার শব্দ। অঙ্কিতার কোনও আওয়াজ পাওয়া যায়নি। এরপরই লাইনটা কেটে গিয়েছিল। 

512

রবিবারের এই ঘটনার পর থেকে অঙ্কিতা লোখান্ডের আর কোনও ঠিকানা ছিল না। সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অঙ্কিতা দূরে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর কোনও সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে ভেসে আসেনি তাঁর প্রিয় কুক্কুকে নিয়ে করা কোনও মন্তব্য। 

612

মাধুরি দিক্ষীত, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, মালাইকা আরোরা, মোনা সিং-দের সামনেই অঙ্কিতা বলেছিলেন- আমি যদি ওকে আই লাভ ইউ বলি- সেটাই যথেষ্ট, বাকিটা ও বুঝে নেবে আমি কী বলতে চেয়েছি। সুশান্তকে এমনই ভরসা করতেন অঙ্কিতা। সুশান্তকে জড়িয়ে ধরে তাঁর বুকের মধ্যে সর্বসমক্ষে মুখ গুঁজে দিতেও লজ্জা পেতেন না। কারণ মনে করতেন সুশান্ত সিং রাাজপুত-ই তাঁর জীবনের শেষ ঠিকানা। আর তাই তিনি সুশান্তকে কুক্কু বলে ডাকতেন। 
 

712

এক টেলিভিশন রিয়্যালিটি শো-এ অঙ্কিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুশান্ত। হাঁটু গেড়ে তাঁর সেই প্রোপোজ এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ছিপছিপে চেহারার অঙ্কিতা যেন সুশান্তের কাছে ছিলেন এক প্রাণচঞ্চল হরিণ। তাঁর চোখ, তাঁর মন- সবকিছু যেন সুশান্তকে দিত  এক নিশ্চিন্ত জীবনের সন্ধান। দুজনেরই মনে হত- তা একে অপরকে ছাড়া অপূর্ণ। 

812

সুশান্তের মৃত্যুর খবর পেতেই অঙ্কিতা কী করেছিলেন। সেই খবর দিয়েছেন পবিত্র রিস্তার আর এক অভিনেত্রী প্রার্থনা বেহারে। তিনি জানিয়েছেন, ফোনে কোনও কথাই বলতে পারছিলেন না অঙ্কিতা। সমানে হাউহাউ করে কেঁদে যাচ্ছিলেন। কী করে এই ঘটনা ঘটতে পারে সমানে সেই প্রলাপ বকে যাচ্ছিলেন তিনি। আর নিজেকে সমানে দায়ী করে যাচ্ছিলেন। অঙ্কিতা নাকি এর বাইরে কোনও কথা বলতে পারেননি। 
 

912

প্রার্থনা আরও জানিয়েছেন, অঙ্কিতা কারওর ফোন ধরছিলেন না মানে এই নয় যে তিনি সুশান্তকে নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাইছিলেন না। তারথেকেও বড় কারণ অঙ্কিতা সুশান্তের মর্মান্তিক প্রয়াণের ধাক্কাটা সহ্য করতে পারেননি। মৃত্যুর খবর পেতেই নিজেকে একটা ঘরের মধ্যে নাকি বন্দি করে নিয়েছিলেন অঙ্কিতা। 
 

1012

পবিত্র রিস্তা সিরিয়ালে প্রার্থনা ছিলেন অঙ্কিতার বোনের চরিত্রে। প্রার্থনা জানিয়েছেন, পবিত্র রিস্তা-র দৌলতে সুশান্ত তাঁর কাছে বড় ভাই হয়ে গিয়েছিলেন। প্রার্থনাকে নাকি নিজের ছোট বোনের মতোই ভালোবাসতেন। ৫ বছর ধরে সুশান্তের সঙ্গে দেখা বা কথা হয়নি। কিন্তু, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর বোনের সম্পর্কে হৃদয়ের টানটা অটুট ছিল বলেই দাবি করেছেন প্রার্থনা। 

1112

প্রার্থনা আরও জানিয়েছেন যে, অঙ্কিতা রবিবার থেকেই মানসিক অবসাদে। সমানে কেঁদে চলেছেন তিনি। সুশান্তের এই পরিণতি কী প্রাপ্য ছিল- তা ভেবেই নাকি হাউহাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অঙ্কিতা। 

1212

বাগদত্তার সম্মান হারিয়েছিলেন, কিন্তু সুশান্তকে জীবন থেকে যে তিনি মুছে ফেলতে পারেননি তা বারবারই স্বীকার করতেন অঙ্কিতা। একটা সময় সুশান্তকে নিয়ে প্রশ্ন শুনলেই রেগে যেতেন। কিন্তু, আস্তে আস্তে অঙ্কিতা বুঝেছিলেন- কোনও এক অমোঘ সত্যে সুশান্তের সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে তাঁর কাহিনি। তাই সুশান্তের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা এলে তাঁর কথাও সেখানে আসবে। এটাকে পরে স্বাভাবিক বলেই মেনে নিয়েছিলেন। আর সেই কারণে যাবতীয় তিক্ততা ভুলে সুশান্তের সঙ্গে যেন এক সন্ধি করেছিলেন অঙ্কিতা। সেটা ছিল হাই-হ্যালো গোছরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos