Published : Jun 15, 2020, 11:41 PM ISTUpdated : Jun 16, 2020, 04:23 PM IST
বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী এবং সুশান্ত সিং রাজুপত একে অপরকে বহুদিন ধরে ডেট করছিলেন। লিভ ইনেও ছিলেন বেশ কয়েক মাস বলে জানা যায়। তবে সুশান্তের মৃত্যুর খবর শুনে যেখানে প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে শোকস্তব্ধ হয়ে যান সেখানেই রিয়ার বহাল তবিয়তে পোস্ট করে যাচ্ছিলেন নিজের ইনস্টাগ্রামে। মায়ের হাতে বানানো পিৎজার ছবি পোস্ট করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। পরে অবশ্য তা ডিলিট করে দেন। এই নিয়েই এখন চলছে নানা নিন্দা, নানা চর্চা। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য কি একটু দুঃখিত নন তিনি। সুশান্তকে নাকি বহু আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন রিয়া।
এদিকে এই বছরেই নভেম্বর নাগাদ বিয়ের ডেট করার ব্যবস্থা চলছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের। এই বছর নভেম্বর নাগাদ বিয়ের ডেট করার ব্যবস্থা চলছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের।
210
এমনটাই সম্প্রতি জানালেন সুশান্তের এক জ্ঞাতি ভাই। বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল পাটনায়। মুম্বইতে খুব শীঘ্রই আসতেন অন্যান্য প্রস্তুতির জন্য।
310
মুম্বইতেই পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ছোট করে বিয়ের অনুষ্ঠান করার কথা ছিল সুশান্তের। যদিও পাত্রীর পরিচয় রিভিল করেননি সেই ভাই। তাহলে কে ছিলেন এই পাত্রী, তা জানার উপায় নেই।
410
সূত্রের খবর, বহুদিন ধরে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে ডেট করছিলেন সুশান্ত। বহু জায়গায় তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনই কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা।
510
তবে সম্প্রতি মহেশ ভাটের ঘনিষ্ঠ মহলের একজন লেখিকা সুরিতা সেনগুপ্ত, রিয়া-সুশান্তের সম্পর্ক এবং সুশান্তের মানসিক অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন।
610
তাঁর কথায়, সুশান্তকে নানা রকম আওয়াজ শুনতে পেতেন, বারবার বলতেন, কারা নাকি তাঁকে মারতে চায়। এমনকি রিয়ার সামনেও এভাবে রিয়্যাক্ট করেছেন বহুবার।
710
একদিন সুশান্তের বাড়িতে রিয়া এবং সুশান্ত বসে অনুরাগ কাশ্যপের একটি ছবি দেখছিলেন। সেই সময় হঠাৎ সুশান্ত বলে ওঠেন, "আমি অনুরাগকে একটি ছবির জন্য নাকোচ করেছিলাম। ও আমায় মেরে ফেলবে।"
810
কথাটি শুনেই রিয়া হতবাক। কীভাবে রিয়্যাক্ট করবেন বুঝতে পারেননি। সুশান্তের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেননি তিনি। বরং তাঁর বাড়ি থেকে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে আসেন।
910
যদিও সুরিতার কথায়, রিয়া একাধিকবার সুশান্তকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন, তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করেন। সুশান্তই নাকি তাঁকে দূরে ঠেলে দেন।
1010
তিনি জানান, মহেশ ভাটই রিয়াকে সুশান্তকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। কারণ সুশান্তের মানসিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। যা রীতিমত ভয় পাইয়ে দিয়েছিল রিয়াকে।