Published : Jun 22, 2020, 12:11 PM ISTUpdated : Jun 22, 2020, 12:58 PM IST
বলিউডের খলনায়ক বলতেই সবার আগে মনে আসে অমরেশ পুরীর নাম। 'মোগ্যাম্বো খুশ হুয়া' আজও সিনেমাপ্রেমীদের কাছে হিট। আজ ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী অভিনেতার। নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই মুম্বইয়ে এসেছিলেন অমরেশ পুরী। কিন্তু তাকে দেখেই প্রযোজকরা বলেছিলেন, যে তার চেহারা নায়ক হওয়ার উপযুক্ত নয়। এই কথা শোনার পরই হতবাক হয়েছিলেন অভিনেতা। তারপর থেকে নায়ক নয়, বরং ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করে বলিউডের সুপার ভিলেন-এর তকমা পেয়েছিলেন অভিনেতা।
অমরেশ পুরীর বড় ভাই মদন পুরীও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলেন। তিনিই তার ভাই অমরেশ পুরীকে মুম্বইতে ডেকেছিলেন। একজন অভিনেতা হিসেবে অনেক স্বপ্ন ছিল অমরেশ পুরীর চোখে।
210
অভিনেতার চরিত্রের জন্য তার প্রথম লুক টেস্ট হয়েছিস ১৯৫৪ সালে। কিন্তু অভিনেতার জন্য তার লুক পছন্দ হয়নি প্রযোজকের।
310
অভিনয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। নায়ক হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি অমরেশের। তারপর ১৯৭১ সালে একটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও তেমন বিশেষ কোনও চরিত্র দেওয়া হয়নি অমরেশকে। আর সেই কারণেই নিজের পরিচয় তৈরি করতে বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল।
410
শ্যাম বেনেগাল-এর চলচ্চিত্র নিশান্ত, মন্ত্রণ, ভূমিকার মতো ছবিতে কাজ করেছেন অমরেশ পুরী। তারপর নিজের নায়কের চরিত্রের স্বপ্ন ভুলে ভিলেন হিসেবেই পর্দায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন অমরেশ পুরী।
510
১৯৮৭ সালে 'মিস্টার ইন্ডিয়া' বানিয়েছিলেন পরিচালক শেখর কাপুর। ছবিতে শ্রীদেবী, অনিল কাপুরের কেমিস্ট্রি আজও সকলের মনে রয়ে গেছে। ছবির সবথেকে বড় আকর্ষণ ছিলেন অমরেশ পুরী। তার বিখ্যাত ডায়ালগ 'মোগ্যাম্বো খুশ হুয়া' দ্বিতীয়টি আর হতে পারেনি বলিউডে।
610
এই ছবিই ভারতীয় চলচ্চিত্রকে কাল্ট চরিত্র উপহার দিয়েছিল। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে। একের পর এক সুপারহিট ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে নিজের সেরাটাই দিয়েছিলেন অমরেশ পুরী।
710
তবে শুধু ভিলেনই নয়, বেশ কিছু ছবিতে কৌতুক দৃশ্যে অভিনয় করেও সকলের মন জিতে নিয়েছিলেন অমরেশ পুরী।
810
নেতিবাচক চরিত্রের পাশাপাশি নব্বইয়ের দশকে ইতিবাচক চরিত্রেও অভিনয় করেন তিনি।
910
একটি সাক্ষাৎকারে অমরেশ পুরী জানিয়েছিলেন, আমি আমার অভিনয়ের সঙ্গে আপোশ করি না। কম অর্থের বিনিময়ে কেন ছবি করব। লোকেরা আমার ছবি দেখতে আসে। আমি ছবিতে থাকি তাই প্রযোজকরা অর্থ পান। তাহলে প্রযোজকরা কেন কম টাকা দেবে।
1010
এনএন সিপ্পির একটি ছবিতে একবার সইও করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন বছরের শেষের দিকে শুরু হবে। কিন্তু তিন বছর কেটে যাবার পর একই অর্থের বিনিময়ে কাজ করাতে চেয়েছিলেন, আমি তা করিনি, জানিয়েছিলেন অমরেশ পুরী।