ডাকের সাজে সেজে উঠেছে রানি মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির মা দুর্গা। বলিউড অভিনেত্রী কাজলও তার মা তনুজা,বোন তানিশা এবং বাপের বাড়ির পুরো পরিবারের সঙ্গে মুম্বইতে দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন।
413
উত্তর মুম্বইয়ের শশধর মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোর নামডাক আগাগোড়ায় রয়েছে। তবে এই দুর্গাপুজোর মূল আকর্ষণই হল কাজল ও রানি মুখোপাধ্যায়। এবং এই বাড়ির পুজো এখন কাজল-রানির বাড়ির পুজো হিসেবেই পরিচিত।
513
সেই তালিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। মা তনুজা,বোন তানিশা এবং বাপের বাড়ির পুরো পরিবারের সঙ্গে মুম্বইতে দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠলেন কাজল। পুজোর কটাদিন পোশাক হিসেব শাড়ি বেছে নিয়েছেন কাজল।
613
ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো দেখতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে। হলুদ শাড়ি পরে নজর কেড়েছেন কাজল। এবং ডিজাইনার সালোয়ার কামিজ পরে নজর কেড়েছেন তানিশা।পুরো পরিবারের সঙ্গে সকল বোনেদের সঙ্গে নজর কেড়েছেন কাজল।
713
পুজো উপলক্ষে পরিবারের সমস্ত সদস্যরা একত্রিত হয়েছেন। বলা যেতে পারে দুর্গাপুজো হল মুখোপাধ্যায় পরিবারের চাঁদের হাট। পুজোর চারদিন ধরে হৈ হুল্লোড় করে আনন্দে কাটান সকলে। পুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও রয়েছে মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতে।
813
পুজোর চারদিন বলিউডের তারকাদেরও জমায়েত হয় এই পুজোতে। বহু পুরোনো এই পুজো। স্বাধীনতার বছর থেকেই শুরু হয় এই নর্থ বম্বে সার্বজনীন দুর্গাপুজোর। অর্থাৎ দেশের স্বাধীনতার যত বছর বয়স ঠিক ততদিন হয়েই চলছে এই পুজো।
913
মুম্বইয়ের প্রবাসী বাঙালিদের কাছে একটা আবেগ মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো। পুজোর দিনগুলিতে মন্ডপে চলে ভোগ বিতরণ। পুজোর দিনকটাতে কাজল, রানি সহ বলিউডের অনেক তারকারাই মন্ডপে দর্শনার্থীদের ভোগ বিতরণ করেন।
1013
এই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে পোশাক হিসেব শাড়ি বেছে নেন রানি ও কাজল। বিভিন্ন ডিজাইনের চোখধাঁধানো শাড়িতে নজর কাড়েন রানি ও কাজল। বেশিরভাগকেই ট্র্যাডিশনাল ড্রেসেই দেখা যায়।
1113
গত দুবছর করোনার জন্য খানিকটা ফিকে হয়েছিল এই পুজো। হাতে গোনা কয়েকজন অতিথিক উপস্থিতি নজরে পড়েছিল। পুজো কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল করোনার জন্য ভার্চিয়াল ভাবেই এই পুজোয় সামিল হতে পারবেন সকলে। আর তাতেই মন খারাপ হয়েছিল প্রবাসী বাঙালিদের।
1213
তবে এবছর ফের চেনা ছন্দে ফিরেছে মুখোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গা পুজো। এবার সকলে একেবারে কাছ থেকেই মাকে দর্শন করতে পারবেন এবং মায়ের ভোগও নিতে পারবেন। মায়ের বোধন থেকে বিদায় পুরোটাই চুটিয়ে উপভোগ করছেন মুম্বইবাসী।
1313
অতিমারির কারণে গত বছর দুর্গাপুজোয় সামিল হননি কাজল। যার ফলে পরিবারের কারোর সঙ্গে দেখা হয়নি। এবার সেই কারণেই পুরো পরিবারকে একসঙ্গে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি কাজল।