এই ভয়ের কারণেই অভিষেক-ঐশ্বর্যার বিয়েতে যাননি বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ, জানুন সেই আজানা কাহিনি

অমিতাভ বচ্চনের দাদু প্রতাপ নারায়ণ শ্রীবাস্তব এলাহাবাদের কাটঘর এলাকায় একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। এই বাড়িতেই অমিতাভের কাকু-কাকিমারা থাকতেন। তাদের মৃত্যুর পর তাদের ছেলে অনুপ এবং মৃদুলা তাদের সন্তানদের নিয়ে থাকতেন।

অনেক বছর আগে একটি সাক্ষাৎকারে অনুপ এবং মৃদুলা জানিয়েছিলেন, বচ্চন পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তারা। কিন্তু বচ্চন পরিবার তাদের চিনতে পারবে কিনা এই সংশয়েই তারা জুনিয়র বচ্চনের বিয়েতে আসেননি।

অভিষেক-ঐশ্বর্যা বিয়েতে ভীষণ আসার ইচ্ছে ছিল অনুপ-মৃদুলার। কিন্তু মনের অশান্তির জেরেই সেই বিয়েতে উপস্থিত হতে পারেননি তারা।

মৃদুলার মতে, তার শ্বশুর-শাশুড়ির মৃত্যুর পর থেকে বচ্চন পরিবারের সঙ্গে তাদের আর বিশেষ কোনও যোগাযোগ ছিল না। যতদিন শ্বশুর বেচে ছিলেন ততদিন বাবুজি অর্থাৎ হরিবংশ রাই বচ্চনের চিঠি আসত।

তারপর থেকেই সম্পর্ক ঠিকমতো না থাকায় জুনিয়র বচ্চনের বিয়েতে আসতে পারেনি বচ্চন পরিবারের পূত্রবধু।

বিবাহবার্ষিকীতে অভিষেক জানিয়েছেন, প্রথম দেখাতেই প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়ার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা।

১৯৯৭ সালে প্রথম দেখা হয় দুজনের। বলি অভিনেতা ববি দেওলই তাকে প্রথম আলাপ করিয়ে দিয়েছিল ঐশ্বর্যর সঙ্গে। 

২০০০ সালে  'ঢাই অকসর প্রেম কি' ছবিতে তাদের প্রথম বন্ধুত্ব শুরু হয়। তারপরই 'কিউ হো গ্যায়া না' ছবির সময় থেকেই তাদের নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়।

তারপরই 'গুরু' সিনেমাতেই তাদের প্রেম যেন আরও জমে ওঠে। এবং ছবি সুপারহিট হবার পরই বিয়ে করেন এই সুপারহিট জুঁটি।

বর্তমানে তাদের একটি ছোট্ট মেয়ে রয়েছে। যার নাম আরাধ্যা।