তবে কী পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হতে চলেছেন সোনু সুদ, নেটদুনিয়ায় ব্যপক গুঞ্জন
বলিউডের তথাকথিত ভিলেন এখন বাস্তবের হিরো। বর্তমানে সোনু সুদের জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন অভিনেতা।
করোনা আবহে যেভাবে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন তা সত্যি প্রশংসনীয়। লোকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরাতে বিস্তর অবদান রয়েছে সোনুর।
সেই সময়ের পর থেকে সাধারণ মানুষের জন্য বিস্তর কাজ করে চলেছেন তিনি। তাঁর এই কাজের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। বেশ কিছু বলি-তারকাদেরও সোনুর পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়।
তবে এতো ভালো কাজ করেও বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অভিনেতাকে। মানুষের জন্য এতো কাজ করছেন তাহলে কী রাজনীতিতে যোগ দেওয়াই এর আসল উদ্দেশ্য? এমন প্রশ্ন বহুবার উঠে এসেছে সোনু সুদের সামনে।
অনেকেই অভিনেতার এই কাজের পিছনে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। এবারে সেই প্রশ্নের জল্পনা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেলো। আসলে পাঞ্জাবে আসলেই সোনু এবং তাঁর বোন মালবিকাকে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।
পাঞ্জাবের মোগা শহরে স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত তিনি। ফলত বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে সোনু এবং তাঁর বোনকে আমন্ত্রন জানানো হয়। ভাই-বোন দুজনেই বরাবর সেই আমন্ত্রণ রক্ষ্যা করেন।
যার ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে মোগা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতির ময়দানে পা দিতে চলেছেন সোনু। তবে বরাবরের মতো এবারেও এই সব জল্পনা উরিয়ে দিয়েছেন সোনু।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোনু স্পষ্ট করে দেন, কোনও ভাবেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন না। এমনকি তাঁর বোন মালবিকাও এই পথে হাঁটছেন না। এই সবই গুজব বলে জানান সোনু।
অভিনেতা আরও জানান, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানেই কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া নয়। অভিনেতা নিজের ইচ্ছেতে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কোনও ভাবেই রাজনীতিতে যোগদান করবেন না, বলে জানিয়ে দেন সোনু।
বর্তমানে সোনু গোটা দেশ জুড়ে যে প্রভাব ফেলেছে, তা এক কথায় বলতে গেলে যে কোনও সুপারস্টারের রেকর্ড ব্রেক করতে সক্ষম। অগুণতি মানুষের ভালোবাসাই সোনুকে সোনুকে জনপ্রতিনিধি করতে যে অগ্রাধিকার পাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।