অজয়কে কি জামাই হিসেবে মানতে পারছিলেন না তনুজা, কেন বিয়ের সিদ্ধান্ত একাই নেন কাজল
শুরুটা এতটা সহজ ছিল না। অজয় দেবগন বলিউডে পা রাখার পর থেকেই যে মস্ত কেরিয়ার তৈরি করেছিলেন এমনটা নয়। বিভিন্ন সময়ে সমালোচনায় উঠে এসেছিল, তার গায়ের রং লুক চুলের স্টাইল।
কাজলের ক্যারিয়ার তখন মধ্যগগনে। একের পর এক হিট ছবি তার ঝুলিতে। এমনই সময় কাজলের নজর কাড়লেন অজয়। তখনও স্ট্রাগেল করছেন অভিনেতা।
কাজলের সঙ্গে সম্পর্ক হতেই অবাক হয়েছিলেন অনেকে। জানিয়েছিলেন এই সম্পর্ক বেশিদিন থাকবে না। সবটাই মানতে এককথায় নারাজ ছিলেন কাজল।
একসময় সাহস করে বাড়িতে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি অজয় কে বিয়ে করতে চান। ঘনিষ্ঠ মহলে সবাই উপদেশ দিয়েছিল, এত তাড়াতাড়ি বিয়ের সিদ্ধান্ত, কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। মানতে নারাজ ছিলেন কাজল।
মা তনুজা কে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি বিয়ে করতে চান, এবং তা অজয় কে। কিছুটা অবাক হলেও মেয়ের আত্মবিশ্বাসকে সম্মান জানিয়েছিলেন তনুজা।
এক সাক্ষাৎকারে তনুজা জানিয়েছিলেন, কাজলের কনফিডেন্স দেখেই সাহস পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ঘরোয়া মতে দুই পরিবারে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল অজয় ও কাজলের।
ছিলনা কোন রাজকীয় আয়োজন, এমনকি ডাকা হয়নি কোনো প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার কেও। সেই থেকে পথ চলা শুরু। আজও অটুট এই জুটির মধ্যে থাকা বিজ্ঞাপন হীন সম্পর্ক। নামেই তারা প্রেম করেছিলে, কেউ কাউকে কোনদিন বলেননি আই লাভ ইউ।
তবে বি টাউনে পা রাখার পর অজয়কে খুব একটা কেউ ছন্দ করতেন না। সকলেই বলেছিলেন, তাঁর গায়ের রঙ চুলের স্টাইলই তাঁকে এগোতে দেবে না।
তবে এমনটা ঘটেনি। কোথাও গিয়ে যেন কাজল দেখতে পেয়েছিলেন ভবিষ্যৎ। কোনও রকমের প্রপোজাল ছাড়াই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।
আর সেই সম্পর্ক আজও বিটাউনের সেরার সেরা জুটি। রিল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফ দুই একই সঙ্গে সামলাচ্ছেন তাঁরা। আর জামাই নির্বাচনে যে কোনও ভুল নেই, তা বুঝতেও তনুজার খুব বেশিদিন সময় লাগেনি।