ঐশ্বর্যের পর্দায় সামনের জীবন যতটা রঙিন, ঠিক ততটাই সোশ্যাল মিডিয়া তোপলার করেছে বচ্চন বধূর ব্যক্তিগত জীবন, তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক থেকে শুরু করে বিবাহিত জীবন, বিতর্কের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি কিছুই।
এমন কী অভিষেকের (Abhishek Bachchan) সঙ্গে সম্পর্ক (Relationship) ঘিরেও একাধিক জল্পনা উঠেছিল তুঙ্গে। তবে ঐশ্বর্যের (Aishwarya Rai Bachcha) জীবন যতটা রহস্যময়, ঠিক ততটাই সহজ অভিষেকের জীবন ভক্তদের চোখে।
ঐশ্বর্য রাইয়ের জীবনে একাধিক ওঠা পড়ার মাঝে সব থেকে বেশি বিতর্ক তৈরি করেছে তাঁর প্রেমকাহিনি। সলমন খানের সঙ্গে বিচ্ছেদেই ইতি থাকেনি জল্পনা।
অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্ক ঘিরেও বিতর্কের ঝড় উঠেছিল নেট দুনিয়াতে। একবার নয়, একাধিক বার। জল্পনার শুরু হয় বিয়ের লগ্ন ঘিরে। মাঙ্গলিক হওয়ার কারণে বিয়ের নিয়মে একাধিক সতর্কতা মেনেছিলেন বচ্চন পরিবার।
কয়েকদিন পেরতে না পেরতেই সামনে আসে তাঁদের বিচ্ছেদের খবর, অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল ছবিতে কাজ করা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। বচ্চন পরিবারের অমতেই ঐশ্বর্য গ্রহন করেছিলেন ছবির প্রস্তাব।
সেই ঝড়ও কাটিয়ে ওঠে এই সম্পর্ক। একের পর এক বাধা আসার সত্ত্বেও আজও ঐশ্বর্য ও অভিষেক একে অন্যের সঙ্গে বহাল তবিয়তে সংসার করে চলেছেন।
এক দিকে যেমন হাজারও বিতর্ক দেখা দিয়েছে বচ্চন বধূকে ঘিরে, ঠিক তার উল্টো ছবি দেখা দেয় অভিষেক বচ্চনকে ঘিরে।
তবে ঐশ্বর্যের মনে কী কখনও অভিষেকের প্রতি সন্দেহ দেখা দিয়েছে, সঠিকভাবে সে উত্তর না জানা গেলেও, এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য জানিয়েছিলেন তিনি অভিষেককে ভরসা করেন।
প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কখনও লুকিয়ে অভিষেকের ফোন দেখেছেন কি না, সাফ উত্তর জানিয়েছিলেন ঐশ্বর্য- না। তাতেই স্পষ্ট।
এখানেই শেষ নয়, আরও জানতে চাওয়া হয়, তাঁর কোনও সহ অভিনেত্রীর জন্য অভিষেক কি ঠকাতে পারে ঐশ্বর্যকে, সেখানেও তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছিলেন না। ফলে বোঝাই যায়, রটনা যাই হোক না কেন, এক প্রকার চুটিয়ে সংসারে করছেন, জুনিয়ার বচ্চন।