চরম হিন্দুত্বের দীক্ষা নিয়েছিলেন মিলিন্দ, আত্মজীবনীতে শিকার করলেন সেই কথা
মিলিন্দ সোমান। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সুপার মডেল। নামটাই যেন যথেষ্ঠ ছিল নারীদের শরীরী হিল্লোল তুলতে। কিছু করেই হোক বা না করেই হোক খবরের শিরেনামে কোনও না কোনওভাবে উঠে আসে তার নাম। এবার আরএসএস-এ নাম জড়াল সুপার মডেল মিলিন্দের নাম। সুপার মডেল ও অভিনেতা মিলিন্দ ছোটবেলায় আরএসএস-এর শাখায় যেতেন। সেখানকার সঙ্ঘের সদস্য ছিলেন তিনি। সেখানেই চলত তার শরীরচর্চা। সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনীতেই প্রকাশ্যে এল সেই কথা। কেমন কাটত আরএসএস-এর ওই দিনগুলি। পুরোনো স্মৃতিতেই ফিরে গেলেন মিলিন্দ সোমান।
মিলিন্দ লিখেছেন, বয়স তখন ৯-১০ বছর। সবেমাত্র সাঁতার ক্লাসে ভর্তি হয়েছেন। ঠিক সেই সময়েই মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কের আরএসএস-এর শাখায় তিনি ভর্তি হন।
তার বাবা ও আরএসএস করতেন। তিনি ভেবেছিলেন, ছেলেও এই শাখায় যোগ দিলে শারীরিক ভাবে ফিট থাকবে, এবং এর পাশাপাশি নিয়মানুবর্তীও হবে।
কিন্তু মিলিন্দ তখন একা সময় কাটাতে পছন্দ করতেন, আরএসএস-এর সঙ্ঘবদ্ধ ট্রেনিং তার পছন্দ হতো না।
তিনি সুযোগ মতো সেখানে ফাকি দিতেন। সবার চোখের আড়ালে গিয়ে তিনি লাইনের মধ্যে লুকিয়ে পড়তেন। যাতে কারোর নজরে পড়তে না হয়।
তখন শুধু সন্ধ্যে ৬-৭ টা খাকি শটস পরে মার্চ করা, যোগ ব্যায়াম আর শারীরিক কসরত করাই ছিল মিলিন্দের পরিধি। আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই শরীর চর্চা করতেন মিলিন্দ।
নিজের আত্মজীবনীতেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে নিজের যোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আরএসএস-এ যাওয়ার পর ক্রমশ যেন সেখানকরা কার্যকর্তা হয়ে উঠেছিলেন মিলিন্দ।
সংস্কৃত উচ্চারণও মিলিন্দ শিখেছিলেন আরএসএস থেকেই। এমনকী সংস্কৃত স্তোস্ত্র মানে না বুঝেই উচ্চারণও তিনি সেখান থেকেই শিখেছিলেন।
হোলিতেও রঙিন মিলিন্দ।আরএসএস ধর্মীয় প্রোপাগন্ডা ছড়ায় বলে বর্তমানে যে সব খবর ছড়ানো হয়,সে বিষয়েও তার কোনও ধারনা নেই।
আরএসএস-এ থাকাকালীন তিনি ওই সময়কে খুব মিস করেন বলেন জানান মিলিন্দ। শুধু তাই নয়, পুরোনো ওই দিনে ফিরে যেতে পারলে তিনি খুব খুশি হতেন বলেই জানিয়েছেন সুপারমডেল।