বিশ্ব দরবারে বাংলা চলচ্চিত্রকে এই জায়গায় নিয়ে আসার পিছনে অনস্বীকার্য অবদান কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের। আজ ৯৭-এ পা দিলেন কিংবদন্তী পরিচালক মৃণাল সেন। বাংলা ছাড়াও হিন্দি, ওড়িয়া, তেলেগু ভাষাতেও চলচ্চিত্র নির্মান করেছিলেন মৃণাল সেন। সালটা ১৯৭৬। 'মৃগয়া' ছবিতেই ডিস্কো ডান্সার মিঠুন চক্রবর্তীর অভিষেক ঘটেছিল। মৃণালের হাত ধরেই সাফল্যের সিড়ি বয়ে উপরে উঠেছিল অভিনেতা। তারপর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মিঠুনকে। প্রথম ছবিতেই মিঠুনের বাজিমাত চমকে দিয়েছিল গোটা বি-টাউনকে।
মৃণাল সেন এমনই একজন পরিচালক ছিলেন, যিনি বিশ্বাস করতেন বিনোদনের জন্য সিনেমা নয়, ছবির মাধ্যমেও মানুষকেও শিক্ষিত করা যায়। সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে মাথায় রেখেই তিনি এগিয়ে চলেছেন।
210
বাড়ির উঠোন থেক ময়দান, গলি থেকে রাজপথ, বস্তি থেকে অট্টালিকা তার সিনেমায় ট্র্যাজিক তৈরি করেছে। তার হাতের জাঁদুতেই যেন পুরো সিনারিওটাও বদলে যেত।
কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরে বলিউডে ডেবিউ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রথম ছবিতেই সুপারহিটের তকমা পেয়েছিল মিঠুন।
510
'মৃগয়া' ছবিটি বি-টাউনে দারুণ ব্যবসাও করেছিল। নবীন অভিনেতা হিসেবে প্রথম ছবি করেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মিঠুন। এই ছবিতেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মিঠুন।
610
'মৃগয়া' ছবিটি ভাগবতী চরণ পানিগ্রাহীর ছোট গল্প 'শিকার'-এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল।
710
এই ছবিতে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং মমতা শঙ্কর দু'জনই প্রথম চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
810
প্রথম ছবিতেই মিঠুনের অভিনয় নজরে পড়েছিল নেটিজেনদের। তারপর থেকে বি-টাউনে নিজের সাম্রাজ্য বিছিয়ে নিয়েছেন ডিস্কো ডান্সার।
910
ছবির মিউজিকের দায়িত্বে ছিলেন সলীল চৌধুরী। মৃণালের এই ছবির যা ছিল বাড়তি পাওনা।
1010
সত্তরের দশক থেকে মৃণালের হাত ধরে বলিউডে এসে আজও নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তখনকার সময়ে তার স্টাইল স্টেটমেন্ট ফ্যাশন আইকনে পরিণত হয়েছিল। তার এই স্টারডর্ম রেকর্ড আজও বলিউডের তাবড় অভিনেতারা ভাঙতে পারেননি।