সন্তানের অকালে চলে যাওয়ার যন্ত্রণা ঠিক কতটা, অচীরে মৃত্যুর হাতছানিতে কীভাবে ছাড়খার হতে পারে পরিবার, আইনের ঘেরাটোপে দৌর ঝাঁপ, অপেক্ষা আর অপেক্ষা... এই সবটাই নির্ভয়ার মায়ের কাছে খুব পরিচিত ছবি। মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে যিনি এক সময় এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটিয়েছেন, আর তিনিই সুবিচার পেয়ে আস্থা রাখেন দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর। আর সেই বিশ্বাসে ভর করেই এবার সুশান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন আশা দেবী।
ঠিক আট বছর আগে, এভাবেই মেয়ের মৃত্যুর কারণ খুঁজে পাননি নির্ভয়ার মা। এক সাধারণ সকাল, সাধারণ দিনের মতই ছিল সেই দিনটিও। মেয়ে ফেরেনি বাড়ি।
28
তারপর হাজার লড়াই, চিকিৎসা, গোটা দেশের প্রার্থনা, কোন কিছুতেই আর ফেরানো যায়নি নির্ভয়াকে। গভীর রাতে সকলকে কাঁদিয়ে মায়ের কোল হয়েছিল খালি।
38
আজ সুশান্তের বাবারও ঠিক একই পরিস্থিতি। আর পাঁচটা দিনের মতই ছিল ১৪ জুন। যা আজ পরিবারের কাছে এক দুঃস্বপ্নের রাত।
48
এরপরের যুদ্ধের ছবিটা নির্ভয়ার মায়ের কাছে খুব পরিচিত। ন্যায় বিচার চেয়ে দরজা দরজায় ঘোরা। নেই বিরাম, নেই বিশ্রাম। সেই একই পরিস্থিতি আজ সুশান্তের পরিবারের।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দিদিরা সুশান্তের জন্য যেভাবে লড়াই করছেন তা সত্যি খুব কষ্টের। তিনি আর্জি জানান, পরিবারকে বিশ্বাস রাখতেই হবে, সুবিচার একদিন আসবেই।
78
দীর্ঘ আট বছর পর মেয়ের মৃত্যুর পেছনে থাকা দোষীদের ফাঁসির মঞ্চে দেখেছিলেন তিনি। গোটা দেশ সেদিনও পাশে ছিল। আজও গোটা দেশ সুশান্তের পরিবারের পাশে।
88
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, হয়তো সময় লাগবে, কিন্তু বিচার পাবেই। তিনি সংশয় প্রকাশ করেন মুম্বই পুলিশের ওপর, আবারও প্রশংসাও করেন সিবিআই, বিহার পুলিশ ও সুপ্রীমকোর্টের ভুমিকাকে।