হেনস্তার অভিযোগে নিজের দিদিকে 'শয়তান' বলে দাবি সুশান্তের, চ্যাট প্রকাশ্যে আনলেন রিয়া

'ছিছোড়ে' ছবির একটি সিপার অর্থাৎ কালো রঙের বোতল, উপরে লেখা ছবির নাম। সুশান্তের এই বোতলটি রয়েছে রিয়ার কাছে। এমনকি রয়েছে একটি হাতে লেখা নোট। 

এছাড়া সুশান্তের সঙ্গে হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের কথোপকথন নিয়েও খোলাসা করেছেন রিয়া। সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং সুশান্তকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেন। এমনটা নাকি অভিনেতা নিজেই বলেছিলেন রিয়াকে। 

২০১৯ সালের এপ্রিল মাসেই প্রথম দেখা হয় সুশান্ত এবং রিয়ার। সেই নিমেষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে তাঁদের মধ্যে। এপ্রিল মাসেই রিয়া নিজের ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠান সুশান্ত এবং প্রিয়াঙ্কাকে আমন্ত্রণ জানান। 

সেই রাতের পর থেকে সুশান্তের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক বদলে যায়। রিয়া প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ আনেন সুশান্তের কাছে। এই অভিযোগের জেরে সুশান্ত এবং প্রিয়াঙ্কার মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়। 

সুশান্তের সঙ্গে রিয়ার হোয়্যাটসঅ্যাপে চ্যাটে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রিয়াঙ্কাকে 'পিওর ইভিল' অর্থাৎ শয়তান বলে ব্যাখা করেছিলেন সুশান্ত।  

চ্যাটগুলি আদৌ সুশান্তেরই কি না সেই বিষয় এখনও কোনও নিশ্টিত খরব পাওয়া যায়নি। চ্যাটের প্রমাণ সঙ্গে নিয়ে সুশান্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল বলেই দাবি করেছেন রিয়া। 

প্রসঙ্গত ইডি তফতরে আট থেকে নয় ঘন্টার জেরায় হয় রিয়ার। রিয়ার আইনজীবী সতিশ মানসিন্দে এই দুটি জিনিস প্রকাশ্যে আনেন। দাবি লেখাটি সুশান্তেরই। নোটটি কৃতজ্ঞতা স্বীকারের।

লেখা, "আমি আমার জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ। লিল্লুর জন্য আমি জীবনের কাছে কৃতজ্ঞ। বেবুর জন্যও কৃতজ্ঞ। স্যারের জন্যও কৃতজ্ঞ। ম্যামের জন্যও কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ যে ফাজ আমার জীবনে রয়েছে।"

এই কৃতজ্ঞতা স্বীকারের নোট কি আদৌ সুশান্তের লেখা, সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নোট অনুযায়ী, বাবা, মা, ভাই, প্রিয় পোষ্য ফাজ, দিদি সকলের কাছেই তিনি কৃতজ্ঞ। 

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যম, রিয়া চক্রবর্তীর লাইফস্টাইল নিয়ে পূর্বে যা যা প্রশ্ন ওঠে তাই এখন রিয়াকে সরাসরি জেরা করল ইডি। ৮ অগাস্ট সকাল ১১ থেকে ১১:৩০ নাগাদ রিয়াকে তলব করে ইডি। 

রাত ন'টা নাগাদ ইডি-র দফতর থেকে তাঁকে নিজের ভাই সৌভিকের সঙ্গে বেরতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের ভিড় কাটিয়ে তড়িঘড়ি গাড়িতে গিয়ে ওঠেন তাঁরা। ইডি জেরায় প্রশ্ন তলে রিয়ার বিলাসবহুল জীবন নিয়ে।

যে অভিনেত্রীর বার্ষিক আয় ১৪ লাখ, তাঁর কাছে দু'টি ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি এল কোথা থেকে। ইউরো-ট্রিপই বা কীকরে সম্ভব হল রিয়ার। সেই অভিযোগই পূর্বে মিথ্যে বলে দাবি করেন রিয়া। তাহলে বার্ষিক আয় ১৪ লাখ থেকে কীভাবে নিজের জীবনযাপন বদলালেন রিয়া।