Rockstar Criticism- হয় ভালো, নয় খারাপ, ১০ বছর পেরিয়েও চুল চেরা বিচারে রকস্টার
ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত ছবি রকস্টার, বিটাউনে ঝড় তুলেছিল এই ছবি। বিতর্কের নিরিখে নিত্য লেখালেখি শুরু হয়েছিল। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন ছবি ঘিয়ে আজও একমত হতে পারেননি ভক্তমহল। প্রসঙ্গ যখনই রকস্টারই, তখনই সকলে দুইভাবে বিভক্ত।
ইমতিয়াাজ আলির তৈরি ছবি রকস্টার মুক্তি পেয়েছিল ২০১১ সালে, অভিনয়ে ছিলেন রণবীর কাপুর ও নার্গিস ফারিয়া। ছবি মুক্তি কিছু দিনের মধ্যেই ঝড় তোলে তা ভক্তমহলে। কারুর যুক্তিতে ছবি অনবদ্য. কারুর যুক্তিতে ছবি ভিত্তিহীন।
আজও নান বিনোদন বৈঠকে চুলচেরা বিচার হয় থাকে এই ছবিকে ঘিরে। প্রথমত ছবির পক্ষে যারা রয়েছে, তাঁদের প্রসঙ্গে আসা যাক। এই ছবির সব থেকে বড় পাওয়া হল এআর রহমান।
মোহিত চোহানের কণ্ঠ আর এ আর রহমানের অনবদ্য মিউজিক এই ছবিকে দিয়েছিল এক অতিরিক্ত মাইলেজ। ছবির অন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অনবদ্য অভিনয় রণবীর কাপুরের। নিজেকে ভেঙে গড়েছিলেন এই ছবির জন্য।
আজও রণবীর এই ছবিটি দেখতে অভিভূত হয়ে যান। তবে বিষয়টা হল, ভালোর তালিকা এখানেই ইতি। এরপর যা পড়ে থাকে তা সবটাই কড়া ভাষায় সমালোচিত। কলেজ জীবনে ছবিটি অনেকেই উপভোগ করেছে।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটা ছবির পরিচিতি বদল হতে থাকে, বদলাতে থাকে তাঁর অর্থ। তবে রকস্টার দেখে কসেই দিক থেকে একটা বড় প্রশ্ন থেকেই যায়। আদেও কি এই ছবি সত্যি কোনো বার্তা দিতে চেয়েছিল!
পরিচালক নিজেই এই ছবিটি পরবর্তীতে দেখে জানিয়েছিলেন, রণবীরের চরিত্রটি অর্থহীন। তবে ছবির তাল মিল খুঁজতে গিয়ে সেই সময় নাজেহাল হয়েছিলেন যাঁরা, দুই চরিত্রের ডায়মেন্সন বুঝতে সময় লেগে গিয়েছিল যাঁদের, সমস্যা তাঁদের নিয়েও।
তাদের আজও সাফ মন্তব্য এই ছবি ঘিরে না গল্পের চরিত্রের কোনও যুক্তি রয়েছে, না গল্পের কোনও অর্থ রয়েছে। যার ফলে এক শ্রেণীর দর্শক আজও এই ছবিকে বাতিলের খাতায় রেখেছে।
অধিকার প্রসঙ্গে এই ছবিতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে, যার ভিত্তিতে সাড্ডা হক ব্যবহৃত, ছবির পরিচালক ইমতিয়াজ নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি ঠিক নিজেই জানেন না যে কেন এই প্রসঙ্গ টানা হয়েছে ছবিতে।
এই ছবিতে এমন কিছুই ছিল না যা এক কথায় বলতে গেলে দর্শকদের আকর্যণ করতে পারে, চিত্রনাট্যের ভিত্তি। যার ফলে ছবির মধ্যে সঠিক ব্যালন্সের অভাব ঘটে। সব মিলিয়ে এই ছবিকে আজও প্রশ্নের মুখেই দাঁড় করিয়ে রেখেছেন অধিকাংশ।