মৃত্যুর আগের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক, কীভাবে মারা গিয়েছিলেন সুশান্ত, বিস্ফোরক স্টিভের ভিডিও

মৃত্যুর আগের দিন ঝগড়া হয়েছিল সুশান্তের। স্টিভ দাবি করেছেন, ভিডিওতে যে আত্মার সঙ্গে তাঁর কথোপকথন হয়ে চলেছে তিনি সুশান্তই। অধিকাংশ নেটিজেনরও একই মত। 

সেই গলা ধরেই বেরিয়ে এল কিছু তথ্য। পূর্বে জানা গিয়েছিল, মৃত্যুর আগের রাতে সুশান্তের কিছু বন্ধু বান্ধব এসেছিলেন তাঁর বাড়িতে। সম্ভবত তাঁর বাড়িতেই থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা। 

তাঁদের সঙ্গেই কি তর্কবিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। স্টিভের ভিডিও থেকে জানা যায়, সুশান্তের সঙ্গে মৃত্যুর আগেরদিন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তারপরই স্টিভ তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, কীভাবে মারা গিয়েছিলেন তিনি। 

তারপরই একই গলার স্বরে ভেসে আসে, "ওরা পেরেক এনেছিল।" পেরেকের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ জেগেছে সকলের মনে। এবারের ভিডিও সেই আত্মা বেশিকিছুই বলতে যায়নি। বরং বলেছে, এসব বন্ধ করা উচিত।

সুশান্তের মৃত্যুর বিচারের জন্য যারা লড়ে চলেছে তাদের দাবি, সুশান্তের বাড়িতে যে বন্ধুরা আগেরদিন আসে তারাই কোনও অস্ত্র এনেছিল নিজেদের সঙ্গে, সেটা দিয়েই তারা খুন করেছে সুশান্তকে। 

স্টিভের ভিডিও গুলি ভাইরাল হলেও এর সত্যতা কতখানি তা এখনও যাচাই করা হয়নি। আদৌ কি সুশান্তের গলা ভিডিওতে শোনা গিয়েছিল নাকি স্টিভ কেবল পাব্লিসিট স্টান্ট হিসেবে ভিডিওটি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করেন। 

সুশান্তের মৃত্যু কেবল ভারতেই যে সারা ফেলেছে তা নয়, তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছে বিদেশিরাও। ফ্রান্স থেকেও তাঁকে নিয়ে পোস্ট করা হয়েছে টুইটারে। সুশান্ত যে জনপ্রিয়তা জীবিত থাকাকালীন পাননি, তা তিনি পেলেন নিজের আকস্মিক মৃত্যুর পর। 

সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকেই শুরু করেছেন পাব্লিসিটি কিংবা রাজনীতি করা। সুশান্তের বিষয় মাসখানেক ধরে যে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক চলেছে তা নজর কেড়েছে প্যারানর্মাল বিশেষজ্ঞ স্টিভ হাফের। 

সকলের অনুরোধে তিনি এই সেশনে বসেন সুশান্তের আওয়াজ শোনার জন্য। তাঁর কথা মত তিনি নাকি সুশান্তকে দেখতেও পেয়েছেন তিনি। তাঁর ডান দিকেই নাকি দাঁড়িয়ে ছিলেন সুশান্ত। অন্যদিকে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দু'টি আত্মা। 

ভিডিওতে সুশান্তের আত্মাকে বলতে শোনা গেল তিনি এখন আলোর দিকে রয়েছেন, ঈশ্বরের সঙ্গে। অধিকাংশ নেটিজেনের মতেই এটা সুশান্তেরই গলা। তিনি নাকি ভিডিওর চার মিনিট নাগাদ বলেছেন, তাঁকে খুন করা হয়েছে। যদিও স্টিভের ভিডিওতে লেখা অন্য বার্তা।

যে গলার স্বর নেটিজেনরা শুনতে পায়, সেখান থেকে তাঁদের দাবি, সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের আত্মাও নাকি উপস্থিত ছিলেন ভিডিওতে। অনেকের মতে সুশান্তের মা-ও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। প্যারানর্মাল ভিডিওতে সাধারণত বিশ্বাস-অবিশ্বাস দুটি কারণে গড়ে ওঠে বিতর্ক। সেই বিতর্ক তুলেছে জনা কয়েক নেটিজেন।