রাস্তার দর্জির তৈরি গাউন পরেই মাথায় উঠেছিল 'মিস ইন্ডিয়া'র মুকুট, জানুন সুস্মিতার অবাক করা কাহিনি

সালটা ১৯৯৪। মিস ইন্ডিয়া ও মিস ইউনিভার্সের মুকুট উঠেছিল বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেনের মাথায়।

কিন্তু সেই খেতাবের পিছনে রয়েছে বিশাল এক ইতিহাস যা অনেকেরই অজানা।

বলিউডের মিস ইউনিভার্স তথা বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেন  প্রথম ভারতকে এনে দিয়েছিল মিস ইন্ডিয়া এবং  মিস ইউনিভার্সের খেতাব। সালটা ১৯৯৪। সেই বছরই রানার্স আপ হয়ে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছিলেন আরও এক বলি অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পুরোনো ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে সেখানেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য।

সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন সুস্মিতা। তাই এত দামি পোশাক পরার সামর্থ ছিল না।

ফাইনালের দিন চারটি আলাদা আলাদা পোশাক পরার কথা ছিল সুস্মিতার। কিন্তু এত পয়সা কোথায় যে এত ড্রেস কিনবে।

সুস্মিতার মা ৪ টি পোশাকের কথা শুনেই তাকে বলেছিল যে লোকে তোমায় দেখতে আসবে, তোমার পোশাক নয়। 

 তারপরই মাকে নিয়ে দিল্লীর সরোজিনী নগর মার্কেট থেকে মিস ইন্ডিয়া খেতাবের ওই গাউনের কাপড় কিনে এনেছিলেন সুস্মিতা।

এখানেই শেষ নয় গাউনটি কিনে সেখানকার একজন স্থানীয় টেলারকে দিয়েই গাউনটি সেলাই করিয়েছিলেন সুস্মিতা। স্থানীয় টেলার তার বাড়ির নীচে পেটিকোট তৈরি করতেন। তার সেলাই করা গাউন পরেই মিস ইন্ডিয়ার মুকুট উঠেছিল সুস্মিতার মাথায়।
 

এ তো গেল গাউনের কথা। গাউনের সঙ্গে হাতের যে গ্লাভস পরেছিলেন সেটাও মোজা দিয়ে বানিয়ে পরেছিলেন অভিনেত্রী। তাতে ইলাস্টিক লাগিয়েই হাতের গ্লাভস বানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এই হল সেই বিশেষ দিন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। নাম ঘোষণার পর ঠিক এমনই প্রতিক্রিয়া হয়েছিল সুস্মিতার। 

গাউন বানানোর পর বেচে যাওয়া কাপড় দিয়েই তার মা নিজের হাতে ফুল বানিয়ে গাউনে লাগিয়ে দিয়েছিল। 

সুস্মিতা আরও জানিয়েছেন, 'যেদিন আমি মিস ইন্ডিয়া হয়েছিলাম সেই দিনটা সত্যিই আমার কাছে ভীষণ বড় ছিল। টাকা দিয়ে সব কিছু বিচার কার যায় না। মনের ইচ্ছাটাই সবথেকে বড়।'