Published : May 20, 2020, 09:13 AM ISTUpdated : May 20, 2020, 09:14 AM IST
ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এবং সলমন খান । বি টাউনের চর্চিত কাপলদের মধ্যে অন্যতম। তাদের প্রেম থেকে ব্রেক আপ সবটাই যেন চর্চিত বিষয়। সেই গদগদ প্রেম আজ অতীত। শারীরিক নির্যাতন,সন্দেহ, পরকীয়া, মারধর সব কিছুই সহ্য করতে হয়েছে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়াকে। বর্তমানে কথা বলা তো দূরহস্ত মুখ দেখাও বন্ধ। কিন্তু তাদের বিচ্ছেদের পিছনে দায়ী কোন কারণ, যা নিয়ে এখনও উত্তাল বি-টাউন। বলি লাভ বার্ডসের ব্যর্থ প্রেমের কাহিনি জেনে নিন একনজরে।
বলিউডের প্রথম সারির তাবড় তাবড় অভিনেত্রীরা তাদের ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন দক্ষিণী সিনেমা দিয়েই। বলিউডে আসার আগে বেশ কয়েকটি দক্ষিণী ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন ঐশ্বর্য। প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তামিল ছবি দিয়ে। ১৯৯৭ সালে মনিরত্নমের ছবি 'ইরুভার'-এ তাকে প্রথম দেখা গিয়েছিল।
215
বলিউডের প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। বি-টাউনে একের পর এক অভিনেতার সঙ্গে বারবার নাম জড়িয়েছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। অভিনয় থেকে রিলেশন সবসময়েই লাইমলাইটের শীর্ষে থেকেছেন বচ্চন বধূ।
315
বলিউডে পা রাখার পর হাম দিল দে চুকে সানাম, তাল, দেবদাস, মহব্বতে, একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া। সমস্ত পরিচালক-প্রযোজকরাই তাদের ছবিতে কাস্ট করতে চাইছিলেন ঐশ্বর্যকে।
415
কেরিয়ার যখন মধ্যগগণে,তখনই 'হাম দিল দে চুকে সনম' সিনেমায় সলমন খানের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন ঐশ্বর্য। বি-টাউনে তখনও সেভাবে জমি পাকাতে পারেন নি ঐশ্বর্য। অন্যদিকে সলমন বেশ প্রতিষ্ঠিত।
515
সলমন খান ঐশ্বর্যর সঙ্গে রিলেশনের আগে সোমি আলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। তাদের দুজনের ঘনিষ্ঠতা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি সোমি। অগত্যা সলমনকে ছেড়ে বিদেশে চলে যান সোমি। ঐশ্বর্যও সেই শূন্যস্থান আরও তাড়াতাড়ি ভরাট করে দিয়েছিল।
615
সলমনের পরিবারের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক হয় ঐশ্বর্য। একদিকে মিডিয়াতে তখন তাদের প্রেম খবরে উত্তাল আর অন্যদিকে ঐশ্বর্যকে বি-টাউনে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠে পড়ে লাগেন সলমন।
715
কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবেতেই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন সলমন। পরিচালক সুভাষ ঘাই পরিচালিত 'তাল ' ছবিতে অফার আসে ঐশ্বর্যর। কিন্তু সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে অন্য নায়িকাদের অনেক গসিপই বাজারে ছড়িয়েছিল।
815
সলমন তখন অ্যাশকে ছবিতে কাজ করতে বারণ করে। কিন্তু অ্যাশ সেই ছবি করতে রাজি নন। ছবিটি বক্স অফিসে হিটও করেছিল। সূত্র থেকে জানা যায় এক পার্টিতে সুভাষ ঘাই ঐশ্বর্যা নিয়ে এমন কিছু বলেছিলেন যার কারণে সুভাষকে চড় মারেন সলমন।
915
নিজের হাতে বি-টাউনে ঐশ্বর্যাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সলমন। তাদের অনেকটাই নিজের ভেবে নিয়েছিলেন তাকে। আর তখই হরিণ শিকার মামলায় নাম জড়ায় ভাইজানের। এর মধ্যে প্রাক্তন প্রেমিকা সোমিকে নিয়ে নানা জল্পনা শোনা যায়।
1015
তারপর থেকেই মদের প্রতি আসক্তি আর ঐশ্বর্যর প্রতি অধিকার ফলানো শুরু হয় সলমনের। নিজেদের পাগলপান্তির জন্যই বারবার শিরোনামে আসে তাদের বহুলচর্চিত প্রেম।
1115
একবার একটি অনুষ্ঠানে সানগ্লাস পরে পুরস্কার নিতে ওঠেন ঐশ্বর্য। যা দেখে অনেকেরই খটকা লাগে। ঐশ্বর্য বলেছিলেন চোখে ইনফেকশন হয়েছে। কিন্তু বলি মহলের অন্দরে অন্য কোথা শোনা যাচ্ছিল। সলমন নাকি অকারণেই তার গায়ে হাত দিয়েছিলেন। প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে মেনে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য।
ঐশ্বর্য নিজেও আর এই সম্পর্ক রাখতে চাননি। এমনকী তার পরিবারও সলমনকে মেনে নেয় নি। 'কুছ না কাহো' ছবির সেটে গিয়েও অসভ্য আচরণ করেছিলেন সলমন। ছবিতে ঐশ্বর্যর বিপরীতে অভিষেককেই দেখা গিয়েছিল।
1415
ইন্ডাস্ট্রির সকল অভিনেতাদের সঙ্গেই ঐশ্বর্যকে সন্দেহ করতেন সলমন। তারপর তাদের বিচ্ছদের খবরে উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
1515
তারপরই বলি অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে তার নাম জড়ায় ঐশ্বর্য। যদিও সেই সম্পর্কও বেশিদিন টেকেনি। সল্লু ভাই নাকি বিবেককেও হুমকি দিয়েছিল।