বিস্ফোরক অমিত ট্যান্ডন, 'স্বার্থপর, মুখ দেখবো না কোনও দিন মৌনির', কী এমন করলেন অভিনেত্রী

মৌনি রায়, বরাবরই তাঁর অভিনয় থেকে লুক বা পার্ফেক্ট ফিগার, ভক্তদের মনে ঝড় তোলে। সেলেবদের সামনে থেকে ঠিক যতটা কাছে পাওয়া সম্ভব, ফ্রেমের ওপারে ভক্তরা ঠিক ততটাই কাছের মনে করেন, আর সেভাবেই চেনেন, তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে বর্তমানে পর্দার পেছনের রহস্যও আর গোপন থাকে না। 

কথায় আছে বিপদে পড়লে তবেই চেনা যায় আসল বন্ধু, এই সময় যে পাশে থাকে, তাঁকেই কেবল প্রকৃত বন্ধু বলে, আর এই বন্ধু চিনে নেওয়ার সুযোগ বা সময় বা প্রকৃত বিপদ সকলের জীবনেই কখনও না কখনও আছে। 

ঠিক একইভাবে এসেছিল অমিত ট্যান্ডনের জীবনে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী রুবি ২০১৭ সালে বিবাহিক সম্পর্ক ছিহ্ন করেছিলেন। ২০০৭ থেকেই তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। 

এই পরিবারের খুব কাছের মানুষ হলেন মৌনি রায়। কিন্তু এ কি, এত দিনের চেনা মানুষটা রাতারাতি কীভাবে গেল বদলে। অমিত ছিলেন না তাঁর স্ত্রীর পাশে। হঠাৎই দুবাইতে সরকারি অফিসিয়ালসদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েন রুবি। 

এরপর তাঁর জেল হয়। সেই সময় কিছুই ছিল না রুবির কাছে। নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। পাশে দাঁড়ানোর মত বন্ধুর ছিল অভাব। এমন কি যাঁরা কাছের ছিলেন, তাঁরাও গিয়েছিলেন বদলে। 

যে তালিকায় এই দম্পতি রাখলেন একটাই নাম, তা হল মৌনি রায়। তিনি রুবির এত কাছের হয়েও কীভাবে পাশ থেকে সরে গেলেন, প্রশ্ন তোলেন এদিন অমিত। 

এক জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলে তিনি জানিয়েছিলেন, রুবির যখন একটা বন্ধুর প্রয়োজন ছিল, ঠিক তখনই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন মৌনি। 

কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন এই পরিবর্তন তাঁরা মেনে নিতে পারছে না। বারে বারে অমিতের কথায় উঠে  আসে, তিনি কোনও দিন ক্ষমা করবেন না মৌনিকে। 

আজ রুবির কাছে অনেক কিছু রয়েছে, তবে রুবি যদি কখনও চায় মৌনিকে ক্ষমা করতে তাহলে তিনি নিজেই সব ছেড়ে চলে যাবেন। এমনকি মৌনির মুখও কোনও দিন দেখবেন না বলে জানান তিনি। 

মুহূর্তে অমিতের এই বয়ান ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি মৌনি রায়। তবে বিতর্ক ঘিরে বর্তমানে জল্পনা তুঙ্গে।