৩১ মার্চের আগে এই কাজ না করলে মিলবে না টাকা, জেনে নিন পিএম কিষাণ যোজনার নয়া নিয়ম

কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে সর্বত্রই এই কাজ করে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকরা। কৃষকদের জন্য কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বহু কৃষক। এবার কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সঙ্গে যুক্ত কৃষকরা খুব শীঘ্রই খুশির খবর পেতে চলেছেন (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana) ।
 

দেশের কৃষকদের আয় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার  নয়া সুবিধা নিয়ে হাজির হয়েছে। গরীব ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য এই বিশেষ প্রকল্পে মিলবে আকর্ষণীয় সুবিধা।। করোনা সংকটের মধ্যে দেশের কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana)। 
 

এই স্কিমের আওতায় থাকা কৃষকদের সরকার বার্ষিক ৬০০০ টাকা  করে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এবং এই যোজনায় বছরে ৬০০০ টাকা করে ঢুকছে অ্যাকাউন্টে।  পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana) দশম কিস্তি টাকা পেয়েছেন কৃষকরা। এবার এই যোজনায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।

খুব শীঘ্রই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে এগারো তম কিস্তির টাকা ঢুকবে। কিস্তির টাকা ট্রান্সফার করার জন্য যা যা জরুরি পদক্ষেপ দরকার তা-ও নেওয়া হয়ে গেছে। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana) অধীনে, সমস্ত জমিদার কৃষক পরিবারকে প্রতি পরিবার প্রতি বছরে ৬০০০ টাকা আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয় এবং প্রতি চার মাসে ২০০০ টাকার তিনটি সমান কিস্তি দেওয়া হয়।

পিএম কিষাণ যোজনায় (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana) ১১ তম কিস্তির টাকা পেতে গেলে সবার প্রথমে কেওয়াইসি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, ১১ তম কিস্তির টাকা পেতে বেশ কিছু নিয়মের সঙ্গেই আবেদন করতে হবে। কেওয়াইসি ছাড়া ১১ তম কিস্তির টাকা পাবেন না কৃষকেরা। যার ফলে আটকে যেতে পারে পিএম কিষাণ যোজনার টাকা।
 

পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana) পোর্টালে বলা হয়েছে, আধার সংক্রান্ত ওটিপি ভেরিফিকেশনের সঙ্গে কিসান কর্নার এ গিয়ে কেওয়াইসি-তে ক্লিক করতে হবে। বায়োমেট্রিক প্রমাণের জন্য নিকটবর্তী সিএসসি  সেন্টারে গিয়েও করাতে পারেন। এছাড়াও এই কাজ বাড়িতে বসেও মোবাইল বা ল্যাপটপে করে নিতে পারেন। তবে ৩১ মার্চের মধ্যে এই কাজ না করলেই  টাকা ঢুকবে না অ্যাকাউন্টে।

যারা এখনও পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana) অধীনে নিবন্ধন করেননি তাদের অবশ্যই মনে রাখবেন যে এই প্রকল্পের জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলির প্রয়োজন। প্রথমত, নিজের নাম, বয়স, লিঙ্গ এবং বিভাগ (SC/ST) । দ্বিতীয়ত,  আধার নম্বর এবং/অথবা অন্য কোনো নির্ধারিত নথি সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটারদের এলডি কার্ড, এনআরইজিএ জব কার্ড, বা কেন্দ্রীয়/রাজ্য/ইউটি সরকার বা তাদের কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা অন্য কোনোও শনাক্তকরণ নথি ইত্যাদি।  তৃতীয়ত, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং আইএফএসসি (IFSC) কোড। চতুর্থত, মোবাইল নম্বর যদিও এটি বাধ্যতামূলক নয় তবে এটি উপলভ্য হলে পরামর্শ দেওয়া হয়।
 

নিজের নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর প্রথমে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana) ওয়েবসাইটে গিয়ে হোম পেজের মেনু বারে ফার্মার কর্ণারে গিয়ে ক্লিক করে  নিজের রাজ্য, জেলা, উপ-জেলা, ব্লক এবং গ্রামের নাম লিখতে হবে। তারপর গেট রির্পোটে ক্লিক করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে হলে  প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার ওয়েবসাইটে গিয়ে  লগ ইন করতে হবে। সেখানেই এই যোজনায় রেজিস্ট্রেশন করার অপশন রয়েছে। সেখানে গিয়েই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।ওয়েবসাইট থেকেই সমস্ত কিছু দেখা যাবে আপনার করা আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে তাও জানা যাবে। যদি আপনার পুরো পদ্ধতিটি গ্রহনযোগ্য হয় তাহলেই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা প্রকল্পে আপনার নাম দেখা যাবে।
 

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে  আরও জানা গেছে, পি এম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana) ১১ তম কিস্তির খুব শীঘ্রই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। ১১ তম কিস্তির টাকা যেন সমস্ত কৃষকরা পায়, সেইদিকেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে সমস্ত কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করা আছে এই প্রকল্পের অন্তর্গত তাঁদেরকে তিনটি কিস্তিতে ৬,০০০ টাকা করে দেওয়া হয় ।  কৃষকদের বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত হয় ৷ 

এই যোজনায় লাভ পেতে পারেন ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ৷ যে সমস্ত কৃষকদের কাছে সর্বাধিক ২ হেক্টর কৃষি জমি আছে তারা এই প্রকল্পের অধীনে থাকতে পারবেন ৷ এই যোজনার অন্তর্গত ২০ বছর ও সর্বাধিক ৪০ বছর পর্যন্ত ৫৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে মাসিক হিসাবে দেওয়া হয় ৷ কিছু দিনের মধ্যেই সমস্ত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে  পি এম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana) ১১ তম কিস্তির টাকা ঢুকে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।