করোনা যুদ্ধে এবার মোদীর হাত শক্ত করলেন প্রেমজি, দেখে নিন কোন শিল্পপতিরা নিলেন অগ্রণী ভূমিকা
দেশ এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের প্রতিটি কোনায় কোনায়। পরিস্থিতি সামল দিতে ২১ দিনের লকডাউন করতে হয়েছে ভারত সরকারকে। বন্ধ অফিস, কল-কারখানা, শিল্প উৎপাদন। কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এই অবস্থায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন ভারত সরকারে। খেলোয়াড় থেকে শুরু করে অভিনেতা, সেলিব্রিটি সকলেই বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। তবে মহামারীর বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন দেশের শিল্পপতিরা। টাটা গ্রুপ থেকে শুপু করে রিলায়েন্স সকলেই দিচ্ছেন বিশাল অঙ্কের অনুদান। এবার সেই লড়াইয়ে সামিল হলেন আজিম প্রেমজি এবং তাঁর সংস্থা উইপ্রো। করোনা মোকাবিলায় এদিন ১১২৫ কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ইউপ্রোর পাশাপাশি দেখে নেওয়া যাক দেশের করোনা যুদ্ধে আর কোন উদ্যোগপতি কত অর্থ সাহায্য করলেন।
Asianet News Bangla | Published : Apr 1, 2020 12:04 PM IST / Updated: Apr 01 2020, 05:38 PM IST
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে রেকর্ড অঙ্কের টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করল উইপ্রো লিমিটেড, উইপ্রো এন্টারপ্রাইজেস এবং আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন ৷ তারা যৌথভাবে ১১২৫ কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে ৷
করোনা যুদ্ধে সরকারকে সাহায্যের জন্য ১০০ কোটি টাকা উইপ্রো লিমিটেড, ২৫ কোটি উইপ্রো এন্টারপ্রাইজ এবং বাকি ১০০০ কোটি টাকা দেবে আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন ৷
ইউপ্রোর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোটা দেশের এই দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সংস্থা বদ্ধপরিকর ৷ কোভিড-১৯ যাদের জীবনে বিপদ ডেকে এনেছে, তাদের পাশে দাঁড়াতেই এই টাকা অনুদানের ঘোষণা করা হল ৷
দেশের করোনা তহবিলে আগেই মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। টাটা সন্সের তরফ থেকে ১,০০০ কোটি টাকার অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। আর টাটা ট্রাস্টের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে আরও ৫০০ কোটির অনুদান। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে টাটা গোষ্ঠী অনুদান দিয়েছে ১,৫০০ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০০ কোটি টাকা দান করেছেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ অম্বানিও। আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড ও রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তরফে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।
মহারাষ্ট্র ও গুজরাত সরকারকে আলাদা করে ৫ কোটি ঠাকা করে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছে রিলায়েন্স। মুম্বইতে দেশের প্রথম করোনা হাসপাতালও গড়ে তুলেছে এই গোষ্ঠী।
দেশের করোনা যুদ্ধে শরিক হয়েছেন আরেক বড় শিল্পপতি সজ্জন জিন্দালও। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০০ কোটি টাকা দান করেছে সজ্জন জিন্দালের জেএসডাব্লু গ্রুপ। পাশাপাশি কোম্পানির কিছু ফেসিলিটি সেন্টারকে আইসোলেশন ওয়ার্ড করতেও তারা তৈরি বলে জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১৫০ কোটি দান করেছে বিশ্বখ্যাত নির্মাণ সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো (এল অ্যান্ড টি)।
ধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৫ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা করেছে পতঞ্জলি৷ মানুষের সাহায্যে তারা সবসময় সরকারের পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পতঞ্জলির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বাবা রামদেব।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কর্মীরা। প্রত্যেক কর্মী তাঁদের দু’দিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দান করছেন। এর থেকে প্রধানমন্ত্রী ত্রান তহবিলে ১০০ কোটি টাকা জমা পড়বে। এছাড়া এসবিআই-এর তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বার্ষিক লভ্যাংসের ০.২৫ শতাংশ দান করা হবে।
দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন আরেক শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালও। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০০ কোটি টাকা দিচ্ছে মিত্তাল গ্রুপ। এছাড়াও প্রতিদিন ৫০০০ মানুষকে খাওয়ানো ও ৩০ হাজার খাবারের প্যাকেট বিলি করছে মিত্তাল গ্রুপ।
তিনি শিল্পপতি নন, তবে তাঁর এক আলাদা পরিচয় রয়েছে, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা। ছেলের তৈরি করা 'পিএম কেয়ারস' তহবিলে নিজের জমানো ২৫ হাজার টাকা তুলে দিলেন ৯৮ বছরের বৃদ্ধা হীরা বেন।