করোনাভাইরাসে সংক্রমণের প্রভাবে রীতিমত ত্রস্ত ভারত। গোটা দেশেই কাঁপছে আতঙ্কে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউনের পথে হেঁটেছে গোটা দেশ। এই অবস্থায় পিছিয়ে নেই আমাদের রাজ্যও। বন্ধ হয়ে গেছে দেশের লাইফলান। শুনাশান রেলওয়ে স্টেশন। একই ছবি বড়বড় বাসস্ট্যান্ড গুলিতে। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস। ভিড় শুধু হাসপাতাল গুলিতে। যেখানে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে সেখানে আর তিল ধরানোর জায়গা নেই। মঙ্গলবার রাত থেকে ভারতের আকাশে আর দেখতে পাওয়া যাবে না কোনও যাত্রীবাহী বিমান। কিন্তু জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এখনও প্রাণ হাতে করেই নামছেন রাস্তায়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মরিয়া সবাই।
Asianet News Bangla | Published : Mar 24, 2020 11:52 AM IST / Updated: Mar 24 2020, 05:23 PM IST
লকডাউন প্রায় গোটা দেশ জুড়েই। এই অবস্থায় বন্ধ দেশের লাইফলাইন। বন্ধ রেল পরিষেবা। তবে কাজে না এলেও ভারতীয় রেলে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন দিয়ে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে রেল মন্ত্রক।
কলকাতা সঙ্গে দেশের সবকটি মেট্রো সিটিতেই চলছে লক ডাউন। এই অবস্থায় সকালের ব্যস্ত সময়ও দেখা নেই যানবাহনের। গোটাদেশই গৃহবন্দি করে রেখেছে।
প্রায় গোটা দেশেই স্তব্ধ জনজীবন। এই অবস্থায়ও এখনও চালু রয়েছে জরুরী পরিষেবা। এই জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও রীতিমত সচেতন হয়েই পথে নেমেছেন।
শুনসান রাস্তাঘাট। বন্ধ স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত। ভিড় শুধু হাসপাতালে। সেখানে ব্যস্ততা চরমে। আর যেসব হাসপাতালে শুধু করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হচ্ছে সেখানে নেই তিল ঘরানোর জায়গা।
পথে যাতে কোনও পথচারীর দেখা না পাওয়া যায়। এখন সেই দিকেই নজর প্রশাসনের। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কড়া নজর প্রশাসনের।
হাত ধোয়া আর পরিষ্কার থাকা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এটাই প্রথম ও প্রধান শর্ত। মাস্কের ব্যবহারও জরুরী। সেই দিকেই নজর গোটা দেশের।
রেল পরিষেবার পর বন্ধ হয়েছে বাস পরিষেবাও। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যাবে অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবাও। আগেই বন্ধ হয়েছিল আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। বুধবার থেকে যাতায়াতের আর কোনও রাস্তাই খোলা থাকছে না।
হাওড়া, শিয়ালদহসহ দেশের সবকটি বড় রেলওয়ে স্টেশন এখন ধুধু প্রান্তর। পা পড়ছে কোনও জনমানবের। বর্তমানে পৃথিবীর সবথেকে বড় লক ডাউনের সাক্ষী বহন করছে নিস্তব্ধে।
দেশের প্রায় সবকটি পর্যটন কেন্দ্র ফাঁকা হয়ে গেছে। যেসব জায়গায় এখনও পর্যটক রয়েছে তাদেরও এলাকা ছাড়তে বা গৃহবন্দি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্ধ স্কুল, কলেজ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গৃহবন্দি সবাই।