ইংল্যান্ড দল প্রায় বিশ্ব-একাদশ! এই পাঁচজনই ভাড়াটে সৈন্য, জানেন কোন দেশে জন্ম
বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই ইংল্য়ান্ড দলকে কাপ জেতার প্রধান দাবিদার ধরা হচ্ছে। আর টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে একমাত্র পাকিস্তান ম্য়াচে হোঁচট খাওয়া ছাড়া তারা খেলেওছে চ্যাম্পিয়নের মতোই। তবে ইংল্য়ান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াড দেখলে মনে হতেই পারে এ যেন বিশ্ব একাদশ। বিভিন্ন দেশের বংশোদ্ভুত ক্রিকেটাররা তো আছেনই, তাঁদের পাশাপাশি এমন পাঁচ জন ক্রিকেটারও আছেন যাঁরা অন্য দেশের নাগরিক। এই পাঁচ জনের প্রত্যেকেই কিন্তু প্রথম একাদশের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আসুন দেখে নেওয়া যাক তাঁরা কারা? কোন কোন দেশ থেকে সৈন্য ভাড়া করে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখছে ব্রিটিশরা?
জোফ্রা আর্চার - বলতে গেলে বিশ্বকাপেই ইংরেজ জার্সিতে কেরিয়ার শুরু করেছেন জোফ্রা আর্চার। বার্বাডোজে জন্মানো এই ফাস্ট বোলার কিন্তু সেই দেশেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন। তারপর তাঁর প্রতিভা দেখে তাঁকে সাসেক্স কাউন্টি ক্লাব তুলে নিয়ে আসে ইংল্যান্ডে। সাসেক্সের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে বিভিন্ন বেসরকারি টি২০ লিগে খেলে বিশ্বব্য়াপি নাম করেছেন। এই বছর আইপিএল-এও রাজস্থান রয়্যালস-এর হয়ে মাতিয়ে দিয়েছেন।
জেসন রয় - ইংল্যান্ডের ধ্বংসাত্মক চার 'জে'-এর একজন। চবলতি বিশ্বকাপে ইতিমধ্যেই দুটি শতরান হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের জার্সিতে। তাঁর জন্ম হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে। ১০ বছর বয়সে পরিবারে সঙ্গে পারি দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে।
বেন স্টোকস - বিশ্বকাপের প্রথম ম্য়াচে তাঁর দুর্দান্ত ক্যাচটা মনে আছে? বর্তমানে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারদের অন্যতম বেন স্টোকস-এর কিন্তু খেলার কথা নিউজিল্যান্ডের হয়ে। কারণ তাঁর জন্ম সেই দেশেই। তাঁর বাবা কিউই জাতীয় দলের জার্সিতে রাগবি খেলেছেন। ছোটবেলায় পরিবারের সঙ্গে বেন চলে এসেছিলেন ইংল্যান্ডে।
টম কুরান - আরও এক ইংরেজ অলরাউন্ডার। টম চাইলে ইংল্যান্ড ছাড়াও আরও দুটি দেশের হয়ে খেলতে পারতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে জন্ম হয়েছিল তাঁরয এই তরুণ প্রতিভার বাবা কেভিন কুরান আবার ক্রিকেট খেলেছেন জিম্বাবোয়ের জার্সিতে। তিনিও অল্পবয়সেই এসেছিলেন ইংল্যান্ডে।
অইন মর্গান - স্বয়ং অধিনায়কই ইংরেজ নন। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১৭টি ছয় মেরে হইচই ফেলে দেওয়া ইংরেজ অধিনায়কের জন্ম হয়েছিল ডাবলিনে। শুধু জন্মই নয়, সেই দেশের হয়ে ২৩টি ওয়ান ডে-ও খেলেছেন বাঁ-হাতি ব্য়াটসম্যান। ২০০৯ সালে তাঁকে প্রথমে ইংল্যান্ড দলে ডাকা হয়েছিল। তারপর থেকে ইংল্যান্ডের হয়েই ঘাম ঝড়াচ্ছেন।