রবিবার গোটা ক্রিকেট-বিশ্বের চোখ থাকবে ক্রিকেটের মক্কা, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। বিশ্বকাপ দখলের অন্তিম লড়াইয়ে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ভারত না থাকার হাহুতাশ অনেকটাই মিটিয়েছে এক নতুন চ্যাম্পিয় লাভের নিশ্চয়তা। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম দুই শক্তিপুঞ্জ হয়েও এতদিন দুই দলের কারোরই বিশ্বকাপের স্বাদ পাওয়া হয়নি। আর এই জমজমাট মোকাবিলা আরও জমে যেতে পারে দুই দলের তারকা ক্রিকেটারদের একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে। আবার এই ছোট্ট লড়াইগুলোই মূল যুদ্ধটার ফলাফল নির্ধারণ করে দিতে পারে।
বিশ্বকাপে ম্য়াচের পর ম্যাচ দলের ব্যাটিংকে ভরসা দিয়েছেন কিউই অধিনায়ক। কাজটা করতে হবে আরও একবার। অন্যদিকে, বিশ্বকাপে নয়া সেনসেশন হয়ে উঠেছেন আর্চার। গতিতেই প্রতিপক্ষকে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেন। এই লড়াই যে জিতবে, তাঁর দল কিন্তু অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
বোল্টের বল ঠিক জায়গায় পড়তে শুরু করলে কি হতে পারে ভারত তা টের পেয়েছে সেমিফাইনালে। তবে জেসন রয়ও কিন্তু মাছি তাড়ানোর মতো অজি পেসারদের উড়িয়েছেন। ব্য়াট বলের এই লড়াইটা ম্য়াচের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রাখে।
এই লড়াইটা দুই অলরাউন্ডারের। বেন স্টোকস-কে ইংল্য়ান্ড ব্যবহার করে রানের গতি বাড়ানোর জন্য। আর তিনি সেটা করা চেষ্টা করলেই হয়ত স্যান্টনারকে আনা হবে আক্রমণে। বর্তমান সময়ের অন্যতম চতুর স্পিনারদের একজন তিনি। এই লড়াইটা অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে চলেছে।
আধুনিক যুগের ব্য়াটিং ফ্যাব ফোরের অন্যতম সদস্যটি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। মঞ্চ যত বড় হয়, তাঁর খেলা তত খোলে। অন্যদিকে লোকি ফার্গুসন যেন নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বিশ্বকাপকেই বেছে নিয়েছেন। ফাইনাসলে রুটকে ফিরিয়ে দেওয়ার থেকে বড় কি হতে পারে?
চোটের কারণে মার্ক উড বিশ্বকাপের দলে থাকবেন কিনা তাই নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি বিশ্বকাপে দলে শুধু জায়গা করে নেননি, আর্চারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের বোলিংকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর অন্যদিকে রস টেলরের সেরাটা এই বিশ্বকাপে একনও দেখা না গেলেও তিনি য়ে বড় ম্যাচের খেলোয়াড় সেমিফাইনালে আরও একবার দেখিয়ে দিয়েছেন। মাঝের ওভারে মুখোমুখি হবেন এই দুজন।