Published : Sep 27, 2021, 11:12 PM ISTUpdated : Sep 28, 2021, 09:24 AM IST
আইপিএল ২০২১-এর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি লেগের প্রথম দুটি ম্যাচ জেতার পর, সিএসকে-র বিরুদ্ধে একেবারে শেষ বল পর্যন্ত লড়ে হারতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (Kolkata Knight Riders)। মঙ্গলবার, আবার আরেক কঠিন পরীক্ষা, দিল্লি ক্যাপিটালস (Deklhi Capitals)। ঋষভ পন্থের নেতৃত্বাধীন ডিসি বাহিনি এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অপ্রতিরোধ্য গততে ছুটছে। প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই শুরু করেছে দ্বিতীয়ার্ধে। দুই দলের জমজমাট মোকাবিলার আগে দেখে নেওয়া যাক দুই দলের হয়ে এই ক্রিকেটিয় যুদ্ধে ২২ গজে নামতে চলেছেন কারা কারা -
শুবমান গিল শেষ ম্যাচে রান আউট হলেও যতটুকু খেলেছিলেন, অনবদ্য ব্যাট করেছেন। আইপিএল-এর এই মরসুমে তিনি ছন্দে আছেন। তবে শুরুটা ভাল করেও, তাকে সত্যিকারের বড় রানে এখনও পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি। খেলতে খেলতে হঠাৎ করেই উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছন। তার ওপেনিং পার্টনার হিসাবে এক দুর্দান্ত ব্যাটারকে পেয়েছে কেকেআর, ভেঙ্কটেশ আইয়ার। রাবাদা-নখিয়াদের চ্যালেঞ্জের তিনি কীভাবে মোকাবেলা করেন, তা যথেষ্ঠ আকর্ষণীয় হবে।
210
শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বী শ - দুজনেই বিস্ফোরক ওপেনার। তবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৃথ্বি এখনও মানিয়ে নিতে পারেননি। তবে একবার জমে গেলে কিন্তু তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে তিনি ৩২৯ রান করেছেন।
অন্যদিকে তাঁর পার্টনার শিখর ধাওয়ানের রান ৪৩০। কেকেআর ম্য়াচেও তিনি তাঁর ফর্ম অব্য়াহত রাখতে চাইবেন।
310
রাহুল ত্রিপাঠী দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। আগের ম্যাচেও ৩৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। নিতীশ রানাও এই মরসুমে রানের মধ্যেই আছেন। তবে, আরবে তাঁকে ব্যাটিং অর্ডারে একধাপ নিচে নামানো হচ্ছে, কাজেই কেকেআর চাইবে তিনি আরও বেশি স্ট্রাইক রেট রেখে খেলুন। এই বছর এখনও পর্যন্ত ইয়ন মর্গানকে ফর্মে খেলতে দেখা যায়নি। আরও কয়েকটা ম্যাচ এরকম গেলে কিন্তু তাঁকে নিয়ে কথা উঠতে শুরু হতে পারে। তবে, তাঁর অধিনায়কত্ব এই পর্বে একেবারে নিখুঁত হচ্ছে। দীনেশ কার্তিক নিজের ভূমিকায় অনবদ্য খেলছেন। আগের ম্যাচে তাঁর ক্যামিও ইনিংসের জোরেই কেকেআর ১৭১ রানে পৌঁছেছিল।
410
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয়ার্ধের দুই ম্যাচেই, দিল্লির মিডল-অর্ডার রান পেয়েছে। কাঁধের অস্ত্রোপচার সারিয়ে মাঠে ফিরে আগের ম্যাচেই তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন। ঋষভ পন্থ পরিচিতই হার্ড হিটার হিসাবে। চলতি টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। শ্রেয়সের সঙ্গে আরআর ম্যাচে তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন। শিমরন হেতমায়ার তাঁর ভূমিকায় অনন্য, পাঁচটি চার মেরে ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আগের ম্যাচে।
510
দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার পর সিএসকে-র বিরুদ্ধেও দুর্দান্ত বল করেন সুনীল নারাইন। শেষ ওভারে তিনি দলকে প্রায় জয় এনে দিয়েছিলেন। শেষের দিকে তাঁর মারকাটারি ব্যাটিংও কাজে লাগতে পারে। তবে, এই বছর সেই ব্যাটিং এখনও দেখা যায়নি। আন্দ্রে রাসেল আগের ম্যাচে হ্যামস্ট্রিং-এ চোট পেয়েছিলেন। দিল্লির বিরুদ্ধে তাঁর কেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি না খেললে, সেই জায়গায় বেন কাটিং অথবা সাকিব আল হাসান খেলবেন।
610
রাজস্থানের বিপক্ষে আগের খেলায় তিনি রিয়ান পরাগের উইকেটটি দখল করেছিলেন। ব্যাট হাতে একটি তিনি একটি ছয়-সহ ৭ বলে ১২ রান করেছিলেন। চোটপ্রাপ্ত মার্কাস স্টইনিসের জায়গায় প্রথম একাদশে এসেছিলেন ললিত যাদব। তিনি ফিট না হলে ফের ললিতকেই দলে দেখা যেতে পারে। স্টিভ স্মিথকেও খেলানো হতে পারে।
710
বরুণ চক্রবর্তীর রহস্য এখনও অব্যাহত। সিএসকে -র বিপক্ষেও তিনি চার ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। লকি ফার্গুসনও এখনও পর্যন্ত প্যাট কামিন্সের অভাব বুঝতে দেননি। আগের ম্যাচেই ১৯তম ওভারে তাঁকে কচুকাটা করেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। ওই ওভারে আসা ২২ রানের জোরেই ম্যাচটি সিএসকের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। এতে করে তরুণ পেসারের মনোবল ধাক্কা খেতে পারে। তবে, তা সত্ত্বেও কেকেআর তাঁর দক্ষতার উপরই ভরসা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
810
দিল্লির বোলিং বিভাগ এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে রয়েছে। আগের ম্যাচে, ব্যাটাররা মাত্র ১৫৫ রান তুলতে পারলেও বোলারাই দলকে প্রয়োজনীয় জয় এনে দিয়েছিল। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন নখিয়া। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে তিনি দুই উইকেট নেন। এছাড়া, রাবাডা, আর আশ্বিন এবং আবেশ খান - প্রত্যেকেই উইকেটের মধ্যে রয়েছেন।