বিবাহিত মহিলাদের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে, তালিকায় একাধিক আইপিএল তারকা ক্রিকেটার

শিখর ধওয়ান-
প্রথমেই জানা যাক ভারতীয় দলের গব্বর শিখর ধওয়ান সম্পর্কে। ২০১২ সালে শিখর ধওয়ান বিয়ে করেছিলেন আয়েশা মুখোপাধ্যায়কে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আলাপ হয়েছিল আয়েশ ও শিখর ধওয়ানের।  ভারতীয় ক্রিকেটারের থেকে ১০ বছরের বড় ছিলেন আয়েশা। 

আয়েশা তার প্রথম পক্ষের স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর শিখর ধওয়ানকে বিয়ে করেন। আয়েশার আগের ২টি কন্যা সন্তানও রয়েছে। শিখর ধওয়ানের সঙ্গে রয়েছে একটি পুত্র সন্তান। বর্তমানে আয়েশার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে শিখর ধওয়ানের। 

মহম্মদ শামি-
ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামি ২০১৪ সালে হাসিন জাহানকে বিয়ে করেছিলেন। হাসান জাহানেরও তার আগে বিয়ে হয়েছিল। তার প্রথম স্বামীর মুদির দোকানের ব্যবসা ছিল। আইপিএলে চিয়ার লিডার থাকাকালীন শামির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল হাসিন জাহানের। সেখান থেকেই প্রেম ও বিয়ে হয়। 
 

হাসিনের আগের পক্ষের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। সেই স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরই স্বামীকে বিয়ে করেছিলেন হাসিন। কিন্ত বর্তমানে শামি ও হাসিনের মধ্যেও বিবাদ চলছে। তারা আলাদা থাকেন। হাসিন ও শামিরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

মুরলি বিজয়-
ভারতীয় ক্রিকেটে খুবই চর্চিত ক্রিকেটার মুরলি বিজয়ের প্রেম কাহিনি।  তার সতীর্থ ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিকের বউয়ের প্রেমে পড়েছিলেন মুরলি বিজয়। শোনা যায় দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন মুরলী বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নিকিতা।

দীনেশ কার্তিককে ডিভোর্স দিয়ে নিকিতা মুরলি বিজয়কে বিয়ে করেছিলেন। যা নিয়ে খুব বিতর্কও হয়েছিল। বর্তমানে সন্তান নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করছেন নিকিতা ও মুরলী। তাদের সন্তানও রয়েছে। তবে সতীর্থের বউয়ের সঙ্গে প্রেম এই বিষয়টি নিয়ে এখনও চর্চা হয়।

অনিল কুম্বলে-
ভারতীয় ক্রিকেটার অনিল কুম্বলে ১৯৯৯ সালে চেতনা নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। চেতনারও  বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছিল। তার আগের পক্ষের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। আলাপ হওয়ার পর চেতনাকে ভালো লেগে গিয়েছিল অনিল কুম্বলের। সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কের শুরু হয়। 
 

তবে চেতনা ভালো লাগার পর সব কিছু জানতে পারেন কুম্বলে। তবে তাকে ও তার আগের পক্ষের মেয়েতে মেনে নিতে কোনও অসুবিধা হয়নি কুম্বলের। বিয়ের পর চেতনার কন্যা সন্তানও কুম্বলে ও চেতনার সঙ্গেই থেকে যায়। পরে নিজেদেরও সন্তান হয়। বর্তমানে তারা সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করছেন। 

ভেঙ্কটেশ প্রসাদ-
আইপিলের বাইরে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ প্রসাদও ডিভোর্সি মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে জয়ন্তীকে বিয়ে করেছিলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। জয়ন্তীর সঙ্গ প্রসাদের সাক্ষাৎ করিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। সেখান থেকেই দুজনের প্রথমে বন্ধুত্ব ও পড়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। 
 

তার আগে জয়ন্তীর যে বিয়ে হয়েছিল তা বেশি দিন টেকেনি। তবে সবটা জেনেই জয়ন্তীকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। বর্তমানে দীর্ঘ বছর ধরে তারা সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করছেন। স্ত্রীয়ের অতীত জীবন নিয়ে কোনও দিনই কোনও সমস্যা হয়নি ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ও তার স্ত্রী জয়ন্তীর মধ্যে।