২০২১ আইপিএলের আগে চমক, ৬ জন প্লেয়ারকে ছেড়ে দিল কেকেআর
২০১৪ সালের পর আইপিএল ট্রফি ঘরে ঢোকেনি কলকাতা নাইট রাইডার্সও। ২০১৯ মরসুমে লড়াই করেও শেষ চারের টিকিট পাকা করতে পারেনি কেকেআর। তাই ২০২১ মরসুমে দলে একাধিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল কিং খানের দল। মিনি নিলামের আগে দলের ৬ জন প্লেয়ারকে ছেড়ে দিল কেকেআর।
গৌতম গম্ভীরের পরিবর্ত হিসেবে দীনেশ কার্তিককে অধিনায়ক করে অনেক আশা নিয়ে এনেছিল কেকেআর। প্রথম মরসুমে দলকে শেষ চারে তুললেও, শেষ দুই মরসুমে হাতে এসেছে ব্যর্থতা। ২০১৯ আইপিএলে মাঝ পথে অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন ডিকে। ব্যাট হাতেও নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।
নতুন মরসুমে দীনেশ কার্তিককে দলে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে চলছে জল্পনা। তবে শেষমেষ দীনেশ কার্তিক দলে রেখে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের টিম ম্যানেজমেন্ট।
অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার প্যাট কামিন্সকে গত মরসুমে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল কেকেআর। তবে নিজের পারফরমেন্সে দলের আশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু অজি তারকাকেও দলে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেকেআর।
বাদ পড়ার তালিকায় ছিল চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব। প্রথম কয়েকটি মরসুমে সাফল্য পেলেও, শেষ দুই মরসুমে সাফল্য আসেনি কুলদীপের। তবে তাকেও দলে রেখে দিল কেকেআর।
নিলামের আগে বুধবার মোট ছ’জন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিল কেকেআর। এঁদের মধ্যে রয়েছেন তিন বিদেশি। ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টনকে দলে রাখছে না কলকাতা। বাদ পড়লেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার হ্যারি গার্নেও। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চুটিয়ে খেললেও কলকাতার দল থেকে বাদ পড়লেন ক্রিস গ্রিন।
এছাড়া তিন জন ভারতীয় প্লেয়ারকেও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেকেআর। সেই তালিকায় রয়েছে নিখিল নায়েক, সিদ্ধার্থ ল্যাড এবং এম সিদ্ধার্থ।
তিন জন বিদেশি ও তিন জন ভারতীয় প্লেয়ার ছাড়া ফলে কেকেআরের হাতে এসেছে মোট ১০.৮৫ কোটি টাকা। যার ফলে আরও তিনজন বিদেশি প্লেয়ার দলে নিতে পারবে কেকেআর।