কেন বারবার আইসিসি ট্রফি হাতছাড়া কোহলির, দেখে নিন বিরাটের ব্যর্থতার পরিসংখ্যান

২০১১ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২১ বলে মাত্র ৯ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি।

২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে বিরাট কোহলি ৪৯ বলে ৩৫ রান করেছিলেন। ধোনি, গম্ভীরা অনবদ্য ব্যাটিং করে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতায়।

২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল ও ২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে রান পেয়েছিলেন কোহলি। করেছিলেন ৪৩ ও ৭৭ রান।

তবে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ভারত ধোনির অধিনায়কত্বে জিতলেও, ২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত তাকিয়েছিল কোহলির চওড়া ব্যাটের দিকে। কোহলি করেন মাত্র ১ রান।

২০১৬ সালে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিরাট রান পেলেও, ম্যাচ হারতে হয়েছিল ভারতকে।

২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মাত্র ৫ রান করেছিলেন কোহলি। সেবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছিল কোহলির ভারতকে।

২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্জের বিরুদ্ধেও ৬ বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুই ইনিংস মিলিয়ে বিরাট কোহলির রান মাত্র ৫৭। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ১৩ রান।.

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ক্যাপ্টেন কোহলি ব্যর্থ ট্রফি জিততে। ফলে দু-একবার বাদ দিলে, আইসিসি ট্রফিতে ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক কোহলির প্রাপ্তির ঝুলি ফাঁকাই। আইসিসি ট্রফি জয়ে অপেক্ষা আরও বাড়ল অধিনায়ক কোহলির।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কোহলির ব্যর্থতার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ভারতের নতুন অধিনায়কের দাবিও জানিয়েছেন।
 

তবে আইসিসি ট্রফি বাদ দিলে এমনিতে বিরাটের যা পরিসংখ্যান তাতে এই মুহূর্তে বিরাটের অধিনায়কত্ব যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। পরবর্তিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ও টি২০ বিশ্বকাপ জেতাই এখন প্রধান লক্ষ্য ক্যাপ্টেন কোহলির।