হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেতেই পুলিশের দ্বারস্থ, রোগ গোপনে কণিকার নামে এফআইআর
বিদেশ থেকে ফেরার ইতিহাস গোপন করেছিলেন কণিকা কাপুর। লন্ডন থেকে ফিরে রীতিমত সামাজিক অনুষ্ঠান, পার্টিতে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। শরীরে ছিল করোনা। যা ছড়িতে পড়তে পাত্র আমলাদেরও। এমনই পরিস্থিতিতে কণিকা সুস্থ হতেই পড়তে হল পুলিশের মুখে।
বলিউডের বেবিডল গায়িকা এবার বিপাকে। সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রোগ গোপন করলেই মিলবে শাস্তি।
কণিকা ভালো হতেই সেই কোপ এসে পড়ল গায়িকার কাঁধে। করোনার উপসর্গ শরীরে থাকলেই তা জানাতে হবে। কিন্তু ল্ড থেকে ফিরে বেমানুম ছিলেন চুপ।
নিরম মাফিক বাইরে থেকে ফিরলে থাকতে হবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে। তবেই এই রোগকে জন সংযোগের হাত থেকে আটকানো যাবে।
এই সহজ বিষয়টাই বুঝে পারেননি কণিকা কাপুর। তিনি সাফ জানয়ে ছিলেন তিনি নাকি বাইরে থেকে ফিরে ঘরেই ছিলেন। কোথাও বেরননি।
কিন্তু একাধিক ছবি তা ভুল প্রমাণ করেছে। তিনি আমলা পার্টি থেকে শুরু করে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, ঘুরে বেড়িয়েছেন সর্বত্র।
এর কয়েকদিনের মাথায় করোনা কোপে পড়েন কণিকা কাপুর। হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। পাশাপাশি চিন্তায় পড়েন সংস্পর্শে আসা বহু মানুষ।
কণিকার সংস্পর্শে থাকা সকলকেই কোয়ারেন্টাইন করা হয়। যদিও কণিকার বক্তব্য তিনি কোনও তথ্যই গোপন করেননি।
এরপর ছয় ছটি টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসায় কণিকাকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। একদিতে তা যেন খুশির খবর, তেমনই তা বিপত্তি। বাইরে এসেই পুলিশের মুখে গায়িকা।
লখনউ থানায় এফ আই আর দায়ের করা হয়। ২৬৯ ও ২৭০ ধারায় অভিযোগ জমা পড়ে তাঁর। বিদেশে যাওয়ার তথ্য গোপন করা নিয়ে এবার জেরা করা হবে কণিকা কাপুরকে।