নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। কখনও ধারাবাহিক ‘অপরাজিতা অপু’র দজ্জাল মাসি শাশুড়ি। কখনও ‘রিস্তো কা মঞ্ঝা’-র দাপুটে শাশুড়ি। সেখানে তিনি শাড়িতে সনাতনী নারী। গোয়ায় তিনি বিকিনিকে সমুদ্র-সুন্দরী!
বয়স নিছকই সংখ্যা তাঁর কাছে। গোয়ায় গেলে নিজেকে কেউ রেখেঢেকে রাখে? তিনিও রাখেননি। প্রকৃতির কাছে নিজেকে মেলে ধরেছেন ফ্লোরাল বিকিনিতে। ব্যস, প্রত্যেক ছবিতেই যেন আগুন ছুটেছে।
দেখতে দেখতে অভিনেত্রী ভাইরাল। তাতে তাঁর থোড়াই কেয়ার। নন্দিনী কখনও পানীয়ের গ্লাস হাতে তুলে নিয়েছেন। কখনও গা ভিজিয়েছেন সমুদ্রের ‘নমকিন’ জলে।
রকমারি বিকিনিতে দেখা মিলিছে তাঁর। কোনওটার স্পোর্টি লুক। কোনওটি হল্টার নেক। ঘাড়ের কাছে বাঁধা। কখনও আলতো করে উপরে জড়িয়ে নিয়েছেন ফুলছাপ সারং, হাউজকোট! রূপ যেন ফেটে পড়েছে তাঁর।
যাঁরা বয়সের দোহাই দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন তাঁদের যেন চোখ খুলে দিয়েছেন। দেখিয়ে দিয়েছেন, রঙিন হতে জানতে জীবন বড় সুন্দর। কেবল তাকে ভোগ-উপভোগ করতে জানতে হয়।
বিকিনি ছাড়াও তাঁকে দেখা গিয়েছে ডিপ কাট চোলি স্টাইলের টপ আর স্লিট স্কার্টে। রানি রঙা এই পোশাকে নন্দিনী রানির মতোই আকর্ষণীয়। হাতে পানীয়ের গ্লাস, চোখে সানগ্লাস আবেদন বাড়িয়েছে তাঁর।
কখনও খোলা চুলে কখনও বাঁধা চুলে ফুলে ফুলে তিনি। কাঠগোলাপের মতো ফুল তাঁর সৌন্দর্যের কাছে ম্লান! হাতে গরম কফির কাপ। এ ভাবেই কি নিজেকে উষ্ণ রেখেছিলেন তিনি?
ক্যাপশন
কখনও কফি, কখনও সুরা...পানীয়ের মতোই বৈপরীত্য তাঁর সাজেও। নন্দিনী তাই নজর কাড়েন সহজেই। বয়স নিছকই সংখ্যা। প্রমাণ করলেন নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়! ছোট পর্দায় দাপিয়ে অভিনয়। পাশাপাশি, গোয়ায় গিয়ে উন্মুক্ত তিনি। তাঁর বিকিনি রূপে থমকেছে সমুদ্র-স্রোতও..
নন্দিনী জনপ্রিয় রবি ওঝার ‘নানা রঙের দিনগুলি’ ধারাবাহিক থেকে। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার পর থেকেই তিনি টলিপাড়ার ‘মিস আধুনিকা’ খলনায়িকা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ‘একা মা’।
বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গিয়েছে। ছিপছিপে শরীরের অমোঘ আকর্ষণের কাছে বার্ধক্য মুখ লুকিয়েছে। তাই তিনি সমুদ্র কিনারে সাক্ষাৎ জলপরি।
একটা সময় সব আনন্দও ফুরোয়। প্রকৃতির কোলে নিঃশেষে উজাড় করে দেওয়ার পালাও সাঙ্গ হয়। তেমনটাই হয়েছে নন্দিনীরও। মনখারাপ নিয়ে তাই গোয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘আবার আসব। তোমার কোলে কাটানো দিনগুলো যেন নিমেষে ফুরিয়ে গেল! রয়ে গেল টুকরো উদযাপন আর কিছু উদাসী দিন।’
সাগরপারে এসে নিজের মতোই কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। ডুব দিয়েছেন নিজের প্রেমে। সেই ভালবাসার বাঁধনে নিজেকে নতুন করে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধতে বাঁধতে তাঁর মত, ‘নিজেকে একবার ভালবেসে তো দেখ! ঠিক মীরা যেমন কৃষ্ণকে ভালবেসে মরেছে!’
ফেরার আগে তাই প্রচণ্ড আফসোস, ইসস! যদি এ ভাবেই আরও কয়েকটি দিন কাটানো যেত। অলস সময়ের ধারা বেয়ে মন চলে শূন্যপানে ধেয়ে... যেন যাযাবর জীবন।