পাহাড়ি কন্যার মাথায় উঠল সুপার মডেলের মুকুট, জানুন তার কাহিনি
বর্ষসেরা সুপার মডেলের খেতাব জিতে নিল সিকিমের মানিলা প্রধান। বছরের সেরা মডেলের মুকুট উঠল তার মাথায়। সিকিমের হয়ে সুপারমডেলের প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছিলেন মানিলা। গতকালই সেই প্রতিযোগীতার লড়াইয়ে সেরার সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মানিলা। পাহাড়িকন্যা হয়েও প্রতিযোগীতার লড়াইয়ে টিকে থাকতে দিশা মোড় এবং প্রিয়া সিংকে হারিয়ে বিজয়িনী হয়েছেন মানালি। মাথায় সুপারমডেলের মুকুট উঠলেও যাত্রাপথ কেমন ছিল মানিলার, জেনে নিন একনজরে।
Riya Das | Published : Mar 16, 2020 4:02 AM IST / Updated: Mar 16 2020, 09:38 AM IST
এমটিভি সুপার মডেলের সেরার সেরা নির্বাচিত হলেন পাহাড়ি কন্যা মানিলা প্রধান।
রিয়্যালিটি শো-এর বিচারক ছিলেন মালাইকা আরোরা, মিলিন্দ সোমান, মাসাবা গুপ্ত, এবং সুপার মডেল উজ্জ্বলা রাউত।
সুপার মডেল খেতাব জেতার পর মানিলা জানিয়েছেন, এটা আমার কাছে স্বপ্ন হওয়ার চেয়ে কম কিছু নয়। এই শো থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যা আমার সঙ্গে নিজে যাচ্ছি এবং সবথেকে বড় হল আমি নিজে। এটাই আমার চূড়ান্ত শক্তি যা কারও কাছে থাকতে পারেন না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সমস্ত শো-এর বিচারক এবং পরামর্শদাতাও দারুণ ছিলেন।
মানিলার মনে মালাইকা এবং উজ্জ্বলার জন্য আলাদা একটি ভালবাসার জায়গাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই সুপার মডেল। শো চলাকালীন মালাইকা যতই চিৎকার করুক না কেন , শেষ পর্যন্ত মানিলা নিজের যোগ্যতা দিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছে।
শো- চলাকলীন একাধিক ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল মানিলাকে।সুপারমডেল হওয়ার যাত্রাপথটাও অতটাও সহজ ছিল না পাহাড়ি কন্যার।
লড়াই শুরু করার প্রথম দিন থেকে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিলেন মানিলায এবং পুরো শো জুড়েই তিনি বিচারকদের মুগ্ধ করেছেন।
শেষদিনের ফোটোশ্যুটে একটি বিশাল বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল মানিলাকে।
ফাইনালের দিন রাজা কুমারীর ইলেকট্রিফাইং পারফরমেন্স সকলকেই মুগ্ধ করেছিল।
মালাইকাও জানিয়েছেন, এমটিভি সুপার মডেল অফ দ্য ইয়ার শুধুমাত্র স্টাইল এবং সৌন্দর্যের কথা নয়, নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করববনে।
ফাইনালে যে দশ জন প্রতিযোদী এই ব়্যাম্পে হেঁটেছেন ভবিষ্যতে তারা অবশ্যই এই জগতটাকে শাসন করবে। এবং মানিলা যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে ভবিষ্যতে তার এই শিক্ষা আগামী দিনের পাথেয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা।