একেই বোধহয় বলে ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ।’ করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জন্য গোটা বিশ্বের কাছে যখন ২০২০ সালটা ‘অভিশপ্ত’, বছর হিসেবে মানছে, সেই বছরেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতে তিরিশ বছরের খরা কাটাল লিভারপুল। লিভারপুল ক্লাবের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ২০২০ সাল।
বুধবার ক্রিস্টাল প্যালেসকে অ্যানফিল্ডে ৪-০ হারানোর পরেই ইপিএল খেতাব লিভারপুলের কার্যত মুঠোয় চলে এশেছিস। তিরিশ বছর পরে লিগ জিততে দরকার ছিল মাত্র ২ পয়েন্ট। সিটির হারের ফলে অঙ্কের হিসেবেই খেতাব জয় নিশ্চিত হল রেড ডেভিলসদের।
শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়, কাতার ২০১৯ সালে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেও ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে লিভারপুল এফসি। শধু দরকার ছিল ইংল্যান্ড সেরা হওয়া। এবার তাও জিতে বৃত্ত সম্পূর্ণ করল ক্লপের দল।
দলের খেতাব জয় নিশ্চিত হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সতীর্থদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন লিভারপুল তারকা মহম্মদ সালহা। সালহা জানান, ইপিএল দিতে খুব ভাল লাগছে। এই জয় সমর্থকদের জন্যই সম্ভব হয়ছে। বিশ্ব জুড়ে থাকা লিভারপুল সমর্থকদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুধু সালহাই নয়, দলের অপর তারকা হেন্ডারসন সতীর্থদের সঙ্গে সেলিব্রেশনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। যেখানে হেন্ডারসনের সঙ্গে রয়েছেন গোমেজ ও ভিরগিল।
আর যার কোচিংয়ে একের পর এক ইতিহাস গড়ে চলেছে লিভারপুল দল, সেই য়ুর্গান ক্লপকে সম্মান জানাতে ভোলেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। দলের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়া লিভারপুল ম্যানেজারের ছবি শেয়ার করে লেখা হয়, আমাদের বস।
সালাহদের জার্মান গুরু য়ুর্গেন ক্লপ আফশোশ করছেন, এমন ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ ক্লাব সমর্থকেরা স্টেডিয়ামে বসে প্রত্যক্ষ করতে পারছেন না বলে! তিনি বলেছেন, 'একবার ভেবে দেখুন, এই জয়টা অ্যানফিল্ডের ভর্তি গ্যালারির সামনে ঘটলে কী হত! লিভারপুল সমর্থকদের জন্য খারাপই লাগছে।'
ক্লাবের তরফ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করা হয়। যেখানে বলা হয়, আমাদের ইতিহাস গড়া অব্য়াহত। যেই ছবিতে লিভাপুলের অতীতের অধিনায়করাও রয়েছেন। যারা দলকে খেতাব দিয়েছেন।
দলের খেতাব জয় নিশ্চিত হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন লিভারপুলের সমর্থকরা। ক্লাবের সামনে থেকে ইংল্যান্ডের রাস্তায় রাতভর চলে লিভারপুল সমর্থকদের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের বিজয় উৎসব।